স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে লিটনের সেঞ্চুরি

একটি সেঞ্চুরির জন্য কত অপেক্ষা। তবে সেটি পেয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়টির জন্য খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হলো না লিটন দাসের। স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে ছুঁলেন তিন অঙ্ক, দেখালেন নিউ জিল্যান্ডে রানের পথ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2022, 05:30 AM
Updated : 11 Jan 2022, 05:30 AM

এবারের সফরের আগে নিউ জিল্যান্ডে টেস্টে চার ইনিংসে তার ছিল কেবল ৬৪, সর্বোচ্চ ৩৩। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ৮৬ রানের ইনিংস খেলার পর এবার দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়ে খেললেন ১০২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।

মোহাম্মদ নাঈমের বিদায়ের পর ক্রিজে যান লিটন। প্রথম ১৮ বলে তার স্কোরিং শট ছিল একটি, তিন রান নিয়ে যেটিতে খুলেছিলেন রানের খাতা। ব্যক্তিগত ৪ রানে সফল রিভিউয়ে বাঁচেন কট বিহাইন্ডের হাত থেকে।

প্রথম ৩০ বলে রান ছিল কেবল ৬। প্রথম বাউন্ডারি আসে ৪৬তম বলে, নিল ওয়্যাগনারের শর্ট বলে পুল করে। এই পেসারের শর্ট বল মোটেও ভাবাতে পারেনি লিটনকে। পরের ওভারে পুল করে চার মারেন পরপর দুই বলে।  

এরপর থেকে দৃষ্টিনন্দন সব শটে মারতে থাকেন একের পর এক বাউন্ডারি। কয়েক ওভার পর কাইল জেমিসনেক পুল করে চার মারার পর আপার কাট করে ছক্কা। ওভারের শেষ বলে আবার পুল করে চারে পৌঁছে যান ফিফটির দুয়ারে।

৬৯ বলে ফিফটি ছুঁয়ে বোল্টকে পাঁচ বলে মারেন চারটি চার, সবকটাই ড্রাইভ করে। পরে ড্যারিল মিচেলের দুই ওভারে মারেন একটি করে বাউন্ডারি।

সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে মিরাজ ফিরে যাওয়ার সময় লিটনের রান ৯৭ বলে ৮১। ওয়্যাগনারের পরের ওভারের প্রথম লাগে আঙ্গুলে। ম্যাজিক স্প্রে লাগিয়ে মারেন টানা দুই চার। প্রথমটি পুল করে, পরেরটি কাভার দিয়ে তুলে মেরে।

জেমিসনের ওভারে এক চার ও তিনটি দুইয়ে পৌঁছান তিন অঙ্কে। একশ ছয় বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে স্যালুট দিয়ে করেন উদযাপন।

পরের ওভারে আঙুলে ডানহাতির তর্জনিতে টেপ প্যাচিয়ে ব্যাটিং চালিয়ে যান লিটন। দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকেননি, ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে। ১১৪ বলে খেলা তার ১০২ রানের ইনিংস গড়া ১৪ চার ও এক ছক্কায়।

টেস্ট ক্রিকেটে সময়টা দুর্দান্ত কাটছে লিটনের। সবশেষ ১৬ ইনিংসে খেলেছেন নয়টি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস, এর দুটি সেঞ্চুরি।

বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে পারেননি লিটন। তবে পাল্টা আক্রমণে দেখিয়েছেন লড়াইয়ের মানসিকতা। প্রমাণ করেছেন, সাহস নিয়ে খেললে নিউ জিল্যান্ডের পেস আক্রমণকেও ফেলা যায় চাপে।