চমৎকার সেশনে বাংলাদেশের ৪ উইকেট

আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাত সকালেই স্পর্শ করেছেন মাইলফলক। ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে এখনও ক্রিজে টিকে আছেন টম ল্যাথাম। তবে এরপরও প্রথম সেশন নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেনের হাত ধরে চার উইকেট তুলে নিয়ে লড়াই করছে ম্যাচে ফিরতে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2022, 00:37 AM
Updated : 10 Jan 2022, 02:34 AM

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতির সময় নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৫ উইকেটে ৪২৩ রান। ৩৪৩ বলে ৩২ রানে ২১৫ রানে ব্যাট করছেন অধিনায়ক ল্যাথাম।

হ্যাগলি ওভালে দিনের প্রথম বলেই বাউন্ডারিতে তিন অঙ্কে পৌঁছে যান ডেভন কনওয়ে। প্যাডে ইবাদতের হাফ-ভলি পেয়ে অনায়াসে সিরিজে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। সেই ওভারে মারেন আরেকটি বাউন্ডারি।

৯৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা কনওয়ে অবশ্য এরপর যেতে পারেননি বেশিদূর। বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে।

শরিফুলের বল কাভারে পাঠিয়েই রান নিতে ছুটেন টম ল্যাথাম। একটু মন্থর ছিলেন কনওয়ে। তিনি জায়গা মতো পৌঁছার আগেই মিরাজের থ্রো এলেমেলো করে দেয় স্টাম্প।

দর্শকদের তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে মাঠে আসেন রস টেইলর। বাংলাদেশ দল ও আম্পায়ারদের গার্ড অব অনার পেরিয়ে ক্রিজে যান নিজের বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। 

১৮৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা ল্যাথাম এগোতে থাকেন বাউন্ডারিতে। তাসকিন আহমেদকে চমৎকার এক কাভার ড্রাইভে চার মেরে বাঁহাতি এই ওপেনার ৩০৫ বলে পৌঁছান দুইশ রানে।

অধিনায়ক হিসেবে এর আগে ছিল না কোনো ফিফটি, এবার পেয়ে গেলেন ডাবল সেঞ্চুরি।

ক্রিজে গিয়েই রানের জন্য ছটফট করছিলেন টেইলর। রান চাইছিলেন প্রতি বলেই। আউট হন সেই চেষ্টাতেই। ইবাদতের অফ স্টাম্পের বল টেনে লেগে ঘুরানোর চেষ্টায় স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন শরিফুলের হাতে।

পরের ওভারে মিলতে পারত ল্যাথামের উইকেট। কিন্তু ঝাঁপিয়েও তার ফিরতি ক্যাচ মুঠোয় রাখতে পারেননি তাসকিন। সে সময় ২০৮ রানে ছিলেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক।

পরের উইকেট দ্রুতই হারায় নিউ জিল্যান্ড। ইবাদতের বল হেনরি নিকোলসের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে পেছনের পায়ে লেগে জমা পড়ে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। জোরাল আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন মুমিনুল। পাল্টায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত, শূন্য রানে বিদায় নেন নিকোলস।

রাচিন রবীন্দ্রর জায়গায় খেলতে নামা ড্যারিল মিচেল টিকেননি বেশিক্ষণ। শরিফুল ইসলামের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরেন তিনি। ব্যাটে বলের মৃদু ছোঁয়া বুঝতে পারেননি তিনি, নেন রিভিউ। তার বিদায়ের সঙ্গে একটি রিভিউ হারায় নিউ জিল্যান্ড।

প্রথম সেশনে সেটিই হয়ে থাকে শেষ বল।  

১ উইকেটে ৩৪৯ রান নিয়ে খেলতে নেমে নিউ জিল্যান্ড ৭৪ রান যোগ করতে হারিয়েছে চার উইকেট। দ্বিতীয় সেশন তারা শুরু করবে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের শেষ জুটি দিয়ে।

আগের দিনের চেয়ে এদিন লাইন লেংথে বেশ ধারাবাহিক বাংলাদেশের বোলাররা। উইকেট থেকে তিন পেসারই সহায়তা পেয়েছেন বেশ। তাসকিন কঠিন সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আরও ভালো অবস্থানে থেকেই লাঞ্চে যেতে পারত বাংলাদেশ।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর (লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত):

নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৩৪৯/১) ১১২.৪ ওভারে ৪২৩/৫ (ল্যাথাম ২১৫*, কনওয়ে ১০৯, টেইলর ২৮, নিকোলস ০, মিচেল ৩; তাসকিন ২৮-৫-৯১-০, শরিফুল ২৪.৪-৮-৬৯-২, ইবাদত ৩০-৩-১৪৩-২, মিরাজ ২৬-১-৯৭-০, শান্ত ৪-০-১৫-০)