৩৪ বছর বয়সী পোলার্ড নিজেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে ফিরেছেন সবে। এই চোটে পাঁচ-ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে, যেতে পারেননি পাকিস্তান সফরে। বললেন, এখন পুরোপুরি ফিট এবং ভালো বোধ করছেন তিনি।
তার মতে, এমন একটি দলকে তিনি নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন, যেখান থেকে অন্তত একজন মানসম্পন্ন ম্যাচ উইনার বাদ পড়েছেন- শিমরন হেটমায়ার। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেঁধে দেওয়া ফিটনেসের মানদণ্ড পূরণ করতে না পারায় আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজের দলে রাখা হয়নি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শনিবারের প্রথম ওয়ানডে সামনে রেখে পোলার্ড তুলে ধরেন, ফিটনেসের বিষয়টি সেরা দল বাছাইয়ের পথ কতটা কঠিন করে তোলে তাদের জন্য।
“ফিটনেস একটি সমস্যা, যা গত কয়েক বছর ধরে আমাদের ভোগাচ্ছে। এটি দেখার উপায় হলো দল নির্বাচন নীতি, ফিটনেস নীতি। ছেলেরা জানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কী প্রয়োজন। কখনও কখনও ব্যক্তি হিসেবে আমরা এটিকে নিশ্চিত ধরে নিই। কখনও কখনও এটি সেরা খেলোয়াড় বাছাই করার প্রক্রিয়াটিকে বাধাগ্রস্ত করে।”
“মহামারী চলাকালীন এই বিষয়গুলো ঘটেছে...সবকিছুই ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু ফিটনেস এমন একটি সমস্যা যার ফলে আমাদের সেরা দল গড়ার চেষ্টা ব্যহত হয়েছে। কখনও কখনও বিষয়টি হতাশাজনক, কারণ দলকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ছেলেরা ফিট ও প্রস্তুত থাকে না।”
ব্যক্তিগতভাবে ফিটনেসকে সবার অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন পোলার্ড।
“আমি বলব, এটি (ফিটনেস) একজন খেলোয়াড়ের আলাদা আলাদা বিষয়। ফিট থাকা, পারফরম্যান্স করা এবং দলের জন্য যা যা প্রয়োজনীয় তা করার জন্য তাদের গর্বিত হওয়া উচিত। এই ব্যাপারগুলো ঘটতে তাকলে আমি নিশ্চিত, আমাদের জন্যও তা ভালো হবে না।”
“এই ফিটনেসের বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে নিই আর চোটের কারণে আমি খেলতে পারিনি, যা আমার একেবারেই পছন্দ নয়।...আশা করি, এখন দলের সঙ্গে থাকতে পারব, কারণ আমি দলে থাকতেই গর্ববোধ করি।”
ফিটনেস সমস্যার কারণেই গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি স্পিনার সুনিল নারাইন। কোনো সিরিজ শেষে খেলোয়াড়রা বাড়ি ফেরার পর দল থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করে না বলে মনে করেন পোলার্ড।
“একজন ব্যক্তি হিসেবে আমি সর্বোচ্চ যা করতে পারি তা হলো ছেলেদের ফিটনেসের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করা।...আমার মনে হয়, সমস্যার জায়গাটা হলো ছেলেরা যখন দায়িত্ব এবং নির্দেশনা নিয়ে সফর থেকে চলে যায় এবং কখনও কখনও তারা তা অনুসরণ করে না। তারপর তারা সফরে ফিরে আসে এবং শূন্য থেকে শুরু করে।”
তাই বিষয়টি নিয়ে সতীর্থদের আরও বেশি পেশাদার হওয়ার আহ্বান অধিনায়কের।
“আমার জায়গা থেকে আমি একটি বার্তা পাঠাতে পারি...আমাদের পেশাদার এবং পরিণত হওয়া উচিত, নিজেদের নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত।”