নিউ জিল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সুপার স্ম্যাশে শনিবার সেন্ট্রাল ডিসট্রিক্টসের বিপক্ষে ২২৮ রানের লক্ষ্য ওয়েলিংটন ছুঁয়ে ফেলে ১ বল বাকি থাকতে, ২ উইকেট হাতে রেখে। ৬৫ বলে সমান ১১টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ১৪১ রানের ইনিংস খেলেন ওয়েলিংটন অধিনায়ক ব্রেসওয়েল।
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ২০ ওভারের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। ২০১২ সালে এইচআরভি কাপে অকল্যান্ডের হয়ে ক্যান্টারবুরির বিপক্ষে মার্টিন গাপটিলের অপরাজিত ১২০ রান ছিল আগের রেকর্ড।
ব্রেসওয়েলের ১৪১ নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অপরাজিত ১৫৮ আছে চূড়ায়।
৩০ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ব্রেসওয়েল ভেঙে দিয়েছেন আরেকটি রেকর্ড। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে রান তাড়া করে জেতা ম্যাচে কোনো অধিনায়কের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। গত বছরের এপ্রিলে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের অপরাজিত ১২২ রান ছিল আগের রেকর্ড। ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ম্যাচটি ৯ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়ায় সব মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ব্রেসওয়েলের ১৪১। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে লুক রাইটের অপরাজিত ১৫৩, পরের বছর একই প্রতিযোগিতায় ক্রিস গেইলের অপরাজিত ১৫১ আছে ওপরে।
নিউ প্লেমাউথে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ব্রেসওয়েল। তবে পাঁচ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তার দল। সেখান থেকে তাণ্ডব চালিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন অধিনায়ক।
ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি ২৫ বলে। এরপর তার কাজিন ও নিউ জিল্যান্ডের পেসার ডগ ব্রেসওয়েলকে হাঁকান টানা তিনটি ছক্কা। ৯১ থেকে ব্লাইর টিকনারকে ছক্কা-চারে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন মাত্র ৪৬ বলে।
শেষ ওভারে ওয়েলিংটনের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। টম ব্রুসকে প্রথম বলে ছক্কায় ওড়ান ব্রেসওয়েল। পরের বলে রান আউটে বিদায় নেন অলি নিউটন। তৃতীয় বলে আসে সিঙ্গেল। শেষ তিন বলে চাই ১০। পরপর ছক্কা-চারে দলকে জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসান ব্রেসওয়েল।
১৮ বলে ৪ ছক্কায় ৩৭ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে অবদান রাখেন লোগান ফন বিক। তবে মূল নায়ক তো ব্রেসওয়েলই।