ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের ম্যাচেও কার্যকর হবে এই নিয়ম।
নতুন প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, শেষ ওভারের প্রথম বলটি শুরুর জন্য একটি কাট অফ টাইম থাকবে। এই সময়ের চেয়ে পিছিয়ে থাকলে ইনিংসের বাকি সময়ে পেনাল্টি হিসেবে ৩০ গজের বাইরে পাঁচ জনের জায়গায় চার জন ফিল্ডার নিয়ে ফিল্ডিং করতে হবে।
কাট-অফের সময় খেলোয়াড়দের আগেই জানিয়ে দেবেন আম্পায়ার।
আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়মটি চালু করা হলো। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আয়োজিত ‘দা হানড্রেড’ টুর্নামেন্টে নিয়মটি চালুর পর এর কার্যকারিতা সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
নিয়মটি প্রথমে ২০২০ সালে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে চালু করা হয়। এরপর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে সব ঘরোয়া সাদা বলের টুর্নামেন্টেও তা চালু করা হয়।
সাধারণ নিয়মে, পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩০ গজের বাইরে সর্বোচ্চ দুই জন এবং পরের ওভারগুলোতে সর্বোচ্চ পাঁচ জন ফিল্ডারকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।
মন্থর ওভার রেটের জন্য বিদ্যমান আইসিসির শাস্তির পাশাপাশি বাড়তি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে এই ‘ইন-ম্যাচ পেনাল্টি।’ অর্থাৎ আগের মতো ম্যাচের পর জরিমানাও গুণতে হবে ফিল্ডিং দলকে।
২০ ওভারের ক্রিকেটে নতুন আরেকটি প্লেয়িং কন্ডিশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতি ইনিংসের মাঝপথে চাইলে আড়াই মিনিটের পানি পানের বিরতি রাখা যাবে। তবে সিরিজ শুরুর আগে দুই দলকে এ ব্যাপারে সম্মতি দিতে হবে।
আগামী ১৬ জানুয়ারি জ্যামাইকায় শুরু হতে যাওয়া ছেলেদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকে নতুন নিয়ম চালু হবে। ১৮ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে মেয়েদের ক্রিকেটে নিয়মটি চালু হবে।