হ্যাগলি ওভালে বাংলাদেশের অপেক্ষায় সবুজ ও বাউন্সি উইকেট

প্রথম টেস্ট শুরুর আগে টিভিতে আলোচনায় ধারাভাষ্যকার মার্ক রিচার্ডসন, ব্রেন্ডন ম্যাককালামরা বলছিলেন, “নিউ জিল্যান্ডে এত কম ঘাসের উইকেট গত কয়েক বছরে দেখিনি।” খেলা শুরুর পর দেখা যায়, শুধু ঘাসই কম নয়, নিউ জিল্যান্ড বিবেচনায় উইকেট বেশ মন্থরও। বাংলাদেশ ফায়দা নেয় দারুণভাবেই। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটসম্যানদের অপেক্ষায় আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Jan 2022, 08:42 AM
Updated : 7 Jan 2022, 08:43 AM

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে অলআউট করার পর ব্যাটিংয়ে অবিশ্বাস্য দৃঢ়তা দেখায় বাংলাদেশ। তরুণ ও অনভিজ্ঞ টপ অর্ডার প্রবল প্রতিরোধ গড়ে নিউ জিল্যান্ডের ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণের সামনে।  

১৭৬.২ ওভার উইকেটে কাটায় বাংলাদেশ, উপমহাদেশের বাইরে যা তাদের সবচেয়ে বেশি ওভার ব্যাটিংয়ের রেকর্ড। দুইশর বেশি বল খেলেন দুজন ব্যাটসম্যান, দেড়শর বেশি আরেকজন, একশর বেশি আরও একজন। দুজন খেলেন আশি বলের বেশি। ১৩০ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ প্রচণ্ড চাপে ফেলে দেয় নিউ জিল্যান্ডকে।

দেশের মাঠে কিউইদের যে পেস আক্রমণ বিশ্বের বড় বড় ব্যাটসম্যানদের মাথাব্যথার কারণ, তারাই মাথাকুটে মরে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সামনে।

ক্রাইস্টচার্চে অবশ্য বোলারদের কাজ আরেকটু সহজ হবে, ব্যাটসম্যানদের কাজ হবে কঠিন। উইকেট দেখে রস টেইলর তেমনই মনে করছেন। হ্যাগলি ওভালের উইকেটে বাউন্স সবসময়ই বেশ। সঙ্গে ঘাসও থাকবে অনেক, শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন নিউ জিল্যান্ডের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

“এই মাঠ আমরা খুব ভালোভাবে চিনি। আমার মনে হয়, মাউন্টে (আগের টেস্টের ভেন্যু) কীভাবে খেলা উচিত, আমরা এখনও তা বুঝে ওঠার চেষ্টা করছি। কিন্তু এখানকার উইকেট সম্পর্কে আমাদের ধারণা অনেক বেশি। আমার মনে হয়, এখানে বাউন্স থাকবে ও বল ভালোভাবে কিপারের কাছে যাবে পুরো সময়ই। অনেক ঘাস থাকবে এখানে।”

“বোলারদের জিভে জল চলে আসবে উইকেট দেখে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি নিবেদন দেখাতে হবে গত টেস্টের চেয়ে। তবে আমাদের ব্যাটাররা এই কন্ডিশনে অনেক অভ্যস্ত, বোলাররাও।”

এই টেস্ট দিয়ে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ডে ড্যানিয়েল ভেটোরিকে স্পর্শ করবেন টেইলর (১১২)। তবে রেকর্ডটি শুধু নিজের করে নেওয়া হবে না। সিরিজ শুরুর আগেই তিনি ঘোষণা করেছেন, এই সিরিজই শেষ। ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট তাই তার বিদায়ী টেস্ট।

১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে অনেক আবেগ তার মনে খেলে যেতে পারে। তাতে স্বাভাবিক পারফরম্যান্স বাধাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগও থাকে। দল হেরে যাওয়ায় এখন টেইলরের বিদায়ের চেয়ে দলীয় লক্ষ্যে নজর থাকবে বেশি, এটিকে তিনি মনে করছেন দারুণ ইতিবাচক।

“ক্রিকেট আবার জীবনের বড় অংশ। সবসময়ই টেস্ট ক্রিকেট খেলতে উপভোগ করেছি। তবে সিরিজের বাস্তবতার কারণেই হয়তো কাজটা সহজ হবে (আবেগ দূরে রাখা)। আমরা জানি, ১-০তে পিছিয়ে আছি, আমাদের জিততেই হবে, শুধু সিরিজ বাঁচাতে নয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্টের জন্যও। মনোযোগ তাই সেখানে, যা খুব খারাপ ব্যাপার নয়।”