এভাবেও বেঁচে যাওয়া যায়!

একটি শব্দ, ক্যামেরন গ্রিনের আবেদন, আম্পায়ারের আঙুল তুলে দেওয়া, অস্ট্রেলিয়ানদের উল্লাস, বেন স্টোকসের রিভিউ নেওয়া এবং নানা সংশয়, এতকিছু হয়ে গেল কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই। সবকিছুর সমাপ্তি বিস্ময় দিয়ে। ১৩৪.১ কিলোমিটার গতির বল স্টাম্পে আঘাত করার পরও আউট হননি স্টোকস।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Jan 2022, 06:47 AM
Updated : 7 Jan 2022, 06:47 AM

অ্যাশেজের সিডনি টেস্টের তৃতীয় সকালের ঘটনা সেটি। ইংল্যান্ড ইনিংসের ৩১তম ওভার। রাউন্ড দা উইকেটে করা গ্রিনের বল ছেড়ে দেন স্টোকস। প্রথম দেখাতেই মনে হয়, বল স্টাম্পে লেগে আশ্রয় নেয় কিপারের গ্লাভসে। টিভি ধারাভাষ্যকার সঙ্গে সঙ্গে সেটি বলেনও। তবে বেলস পড়েনি।

সংশয়ের সৃষ্টি হয় এরপরই। বেলস না পড়াতেই হয়তো গ্রিন ভাবেন, বল লেগেছে স্টোকসের পায়ে। তিনি এলবিডব্লিউর আবেদন করেন। আম্পায়ার পল রাইফেলও হয়তো ভাবেন একইরকম, তিনি আঙুল তুলে দেন। স্টোকস অবশ্য রিভিউ নিতে দেরি করেননি।

রিভিউয়ে দেখা যায়, স্টোকসের প্যাডের ধারেকাছে ছিল না বল। বরং বল সজোরে আঘাত করে অফ স্টাম্পের এক পাশে। কিন্তু বেলস রয়ে যায় সেখানেই। নিয়ম অনুযায়ী বোল্ড নন।

নিজের ভাগ্য দেখে মাথায় হাত দিয়ে হাসিতে ফেটে পড়েন স্টোকস। হতাশ মনে বোলিংয়ে ফিরে যান গ্রিন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার গিয়ে স্টাম্প নাড়িয়ে দেখতে থাকেন, এত জোরে আঘাতের পরও কীভাবে বেলস পড়ে না!

স্টোকস পরে ন্যাথান লায়নের বলে এলবিডব্লিউ হন ৬৬ রান করে। ইংল্যান্ড ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টো গড়েন ১২৮ রানের জুটি।