২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর, বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল খেলার পর আর কোনো ধরনের ম্যাচ খেলেননি মাশরাফি। সবশেষ শের-ই-বাংলায় দেখা গেছে তাকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর। সেদিন এসেছিলেন তাসকিন আহমেদের অফ কাটার নিয়ে কাজ করতে। এবার এলেন নিজের জন্য। সামনেই বিপিএল। বোলিং তো ঝালাই করতে হবে! দীর্ঘদিন পর তাই ছুটলেন আবার বল হাতে।
‘ছুটলেন’ বলা অবশ্য ভুলই হবে। বলা যায়, মৃদু পায়ে এগোলেন। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে নেটে ছোট্ট রান আপে বেশ কিছুক্ষণ বোলিং করলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে। সেসময় নেটে ছিলেন দুই অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি ও নেট বোলাররা। পরে সেখানে আসেন তামিম ইকবালও।
এবারের বিপিএলে ঢাকা দলে একসঙ্গেই খেলবেন মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ ও তামিম। মাশরাফির বোলিং ও তামিম-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং অনুশীলন শেষে তিনজনের আড্ডাও জমল তুমুল।
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মাশরাফি বললেন, বিপিএলের জন্যই বল হাতে ফিরলেন।
“খানিকটা ব্যাক পেইন আছে। আজকে অনেক দিন পর এসেছি। একটু সময় লাগবে হয়তো। সামনে বিপিএল আছে, আস্তে আস্তে শুরু করছি। ব্যাক পেইনের কি অবস্থা হয়, এটির ওপর নির্ভর করছে।”
ব্যথা অবশ্য কমে আসছে বলেই জানালেন তিনি। আগামী সপ্তাহে পুরো রান আপে বোলিংয়ে ফেরার আশা তার।
“বোলিং সেরকমভাবে করিনি। ব্যাক পেইন আছে। শর্ট রান আপে দেখছিলাম যে কী অবস্থা। এখনও ফুল রানআপে করিনি, মন্তব্য করা ঠিক হবে না। এখন যেটা হচ্ছে, একটা রিহ্যাব প্রক্রিয়ায় আছি। ব্যথা কিছুটা কমেছে। আগামী সপ্তাহে গিয়ে ফুল রান আপে করতে পারলে হয়তো বুঝতে পারব।”
“খুব বেশি কিছু পরিবর্তন অনুভব করিনি। যেহেতু রিদম ঠিক আছে, আমার কাছে মনে হয় না ক্যাচ করতে বেশি সময় লাগবে। যত তাড়াতাড়ি ফুল রান আপে করতে পারব, তত ভালো।”
বিপিএলের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের একদিনের ম্যাচের সংস্করণে খেলার কথা ভেবেছিলেন তিনি। তবে পিঠের ব্যথার কারণে এখন এই টুর্নামেন্টে খেলার সম্ভাবনা কমই। বিপিএল দিয়েই হয়তো ফিরবেন মাঠে।
২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জেমকন খুলনা দলে খেলেছিলেন মাশরাফি। এবার ঢাকা দলে তামিম ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে খেলতে তাকিয়ে আছেন তিনি আগ্রহ নিয়ে।
“ওরা তো খেলার ভেতরে থাকে। ওদের ব্যাপারটা ভিন্ন। ওরা পেশাদার খেলোয়াড়। আমিও পেশাদার, কিন্তু এখন তো দলের সাথে নেই। আমার বিষয়টা ভিন্ন। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই ভালো অনুভূতি (এই দুজনের সঙ্গে খেলা)। কিন্তু দিন শেষে ম্যাচ খেলতে নামলে সবাই জয়, নিজ নিজ প্রক্রিয়া নিয়ে ভাববে।”
“খুব ভালো লাগবে যে অনেক দিন পর ড্রেসিংরুম শেয়ার করব, একসঙ্গে হোটেলে থাকব...ভালো একটা সময় পার হবে আশা করছি।”