‘মুশফিক ভাই সবচেয়ে ইমোশনাল’

ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করার পর যে চিৎকার দিলেন মুশফিকুর রহিম, সেটাই বলে দিল অনেক কিছু। দেড় দশকে নিউ জিল্যান্ডে তো কম সইতে হয়নি তাকে। তারই জবাব যেন ছিল এই হুঙ্কার। তার শরীরি ভাষায় যেটা ফুটে উঠছিল, ম্যাচ শেষে সেটাই বললেন মুমিনুল হক। তার দেখা সবচেয়ে আবেগপ্রবণ মানুষ মুশফিক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2022, 09:43 AM
Updated : 5 Jan 2022, 10:15 AM

সেই ২০০৭ সালে প্রথম নিউ জিল্যান্ড সফর করেন মুশফিক। এরপর অনেকবার এলেও দলকে বের করতে পারেননি ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে। এবার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা না থাকায় তার কাঁধে ছিল বাড়তি দায়িত্ব। বিশেষ করে সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক মুমিনুলের পাশে দাঁড়ানোর কাজটা তিনি করেছেন দারুণভাবে।

বড় রান হয়তো করতে পারেননি, তবে প্রথম ইনিংসে তার ৫৪ বলে খেলা ১২ রানের গুরুত্ব কম নয়। মুমিনুলের সঙ্গে ১৮.২ ওভারে গড়েন ১৯ রানের জুটি। একশর বেশি বল স্থায়ী জুটিতে যা বাংলাদেশের মন্থরতম। স্বাগতিক বোলারদের ক্লান্ত করতে এই জুটির ছিল অবদান।

জয়সূচক রান করার জন্য তিনিই হয়ত ছিলেন সঠিক ব্যক্তি। মাঠের পর ড্রেসিংরুমের উদযাপনেও বোঝা গেছে এই জয় কতটা ছুঁয়ে গেছে মুশফিককে। পরে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল জানালেন, দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে সব কিছুর সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ছিলেন মুশফিক।

“মুশফিক ভাই ছিলেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ। ম্যাচে উনি অনেক সম্পৃক্ত ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে উনি আমার সঙ্গে অনেক কথা বলেছেন। আমার কাছে মনে হয়, উনি সবচেয়ে ইমোশোনাল মানুষ। উনার অনেক ইমোশন ছিল। তরুণ অধিনায়ক হিসেবে আমাকে উনি অনেক সহায়তা করেছেন। মুশফিক ভাই সবচেয়ে সিনিয়র, উনি কথা বললে সেটা সবার মাঝে অন্যভাবে কাজ করে।”

পাকিস্তান সিরিজটা ব্যাট হাতে ভালো কাটেনি মুমিনুলের। তার সঙ্গে এ নিয়েও কথা বলেছিলেন মুশিফক। 

“মুশফিক ভাই দলের সবাইকে অনুপ্রাণিত করার অনেক চেষ্টা করেছেন। আমার নিজেরও সবশেষ সিরিজটা ভালো যায়নি। তো এই সিরিজ শুরুর আগে তিনি আমার সঙ্গে অনেক কথা-বার্তা বলেছিলেন। তামিম ভাইও ফোন দিয়ে অনেক সহায়তা করেছিলেন। সাকিব ভাইও ফোন দিয়েছিলেন।”