সুজন ভাইয়ের অনেক অবদান: মুমিনুল

বৃষ্টিতে আড়াই দিনের বেশি সময় ভেসে যাওয়া একটি ম্যাচে দুঃস্বপ্নের ব্যাটিংয়ে হারের পরপরই নিজেদের কঠিনতম গন্তব্যে একটিতে যাত্রা। সেখানে কোভিড জটিলতায় বেড়ে গেল কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ। এর ডামাডোলে হারিয়ে গেল একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। কোনো কিছুই ঠিক বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না। বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া নড়বড়ে এক দলকে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। মুমিনুল হক জানালেন, খালেদ মাহমুদের তৎপরতায় উজ্জ্বীবিত হয়েই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলতে নেমেছিলেন তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2022, 08:01 AM
Updated : 5 Jan 2022, 08:01 AM

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শেষে ঢাকা ছাড়ে বাংলাদেশ। দুবাই থেকে নিউ জিল্যান্ড যাওয়ার ওড়ানে একজন যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন শানাক্ত হলে শঙ্কায় পড়ে যায় মুমিনুলদের খেলা। এর মধ্যেই শ্রীলঙ্কা থেকে যাওয়া স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথও আক্রান্ত হন করোনাভাইরাসে। সব মিলিয়ে খুব বাজে অবস্থাতেই ছিল বাংলাদেশ।

দলের একটি অংশ যারা ওই যাত্রী থেকে দূরে ছিলেন তারা ৭ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর অনুশীলনের সুযোগ পান। তবে বৃষ্টির জন্য অনুশীলন করতে পারেননি, পরের দিন অনুশীলন বাতিল করে তাদেরও কোয়ারেন্টিনে ফেরার নির্দেশ দেয় নিউ জিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

কঠিন এই সময়ে দলের মনোবল চাঙ্গা করতে এগিয়ে আসেন ‘টিম ডিরেক্টর’ ও সাবেক অধিনায়ক মাহমুদ। দলকে গাঁথেন এক সুতায়। ‘অনেক হেরেছি, এবার জিততে এসেছি’, এই মন্ত্র ছড়িয়ে দেন সবার মাঝে।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথম টেস্ট ঠিক তা-ই করে দেখাল বাংলাদেশ। শক্তি, সামর্থ্য, স্কিলে অনেক এগিয়ে থাকা নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে দিল সফরকারীরা। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রতিপক্ষের মাঠে শক্তিতে পিছিয়ে থাকা দলগুলোর আরও জয় আছে কিন্তু পাঁচদিন ধরে দাপুটে ক্রিকেটে খেলে এমন জয় আছে কমই। ৮ উইকেটে জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার পর মুমিনুলের স্মরণ করলেন সাবেক অলরাউন্ডার মাহমুদের অবদান।

“অনুপ্রেরণার কথা বললে, (মাহমুদ) সুজন ভাই অনেক বিরাট বড় একটা ভূমিকা রেখেছেন এখানটায়।”

“আমরা যখন কোয়ারেন্টিনে ছিলাম তখন সেভাবে অনুশীলনের সুযোগ পাইনি। যখন বের হই, তখন এক সঙ্গে অনুশীলন শুরু করি। তখন দল হিসেবে এক সঙ্গে কাজ করার একটা আবহ তৈরি হয়। সুজন ভাই সেই সময়টায় অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওই সময়টায় উনি আমাদের খুব বেশি অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছেন, এখনও করছেন।”

কোয়ারেন্টিনের কঠিন সময়ে এলোমেলো হয়ে যেত পারত দল। সে সময় সবাইকে যেভাবে আগলে রেখেছেন মাহমুদ তা ছুঁয়ে গেছে মুমিনুলকে। নিউ জিল্যান্ডে স্বাগিতকদের অজেয় যাত্রা থামা এ্‌ই অধিনায়ক জানালেন, কঠিন সময় দলকে আরও একতাব্ধ করেছিল।

“মাঠের বাইরে থেকে অনুপ্রেরণা দেওয়াটা আমার মনে হয়, খুব বেশি কাজে দিয়েছে। কোভিড মাঝে মধ্যে আশীর্বাদ হয়ে কাজ করে। আমরা ১০ দিন এক সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে ছিলাম। তো সেখান থেকে বের হয়ে আমরা সবাই দল হিসেবে এক সঙ্গে অনুশীলন করতে পেরেছি। ওইটা সবচেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে।”