মিঠুনের ২০৬, শুভাগতর ১১৬

আগের দিন করা সেঞ্চুরিকে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া শুভাগত হোম চৌধুরি করলেন টানা দ্বিতীয় শতক। এই দুইজনের তিনশর কাছাকাছি জুটিতে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে লিড পেয়েছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2022, 01:05 PM
Updated : 4 Jan 2022, 01:17 PM

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে মঙ্গলবার ৪৩৮ রানে শেষ হয়েছে মধ্যাঞ্চলের প্রথম ইনিংস। দক্ষিণাঞ্চলের ৩৮৭ রান ছাড়িয়ে ৫১ রানের লিড নিয়েছে তারা।

তৃতীয় দিন শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণাঞ্চল ১ উইকেট হারিয়ে করেছে ৪৩ রান। এখনও ৮ রানে পিছিয়ে তারা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মধ্যাঞ্চলকে সাড়ে চারশ রানের বিশাল পুঁজি এনে দেওয়ার কারিগর মিঠুন ১১৩ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথমবার দ্বিশতকের স্বাদ পান। খেলেন ৩ ছক্কা ও ২৭ চারে ২০৬ রানের ইনিংস।

ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করেই এই কীর্তি গড়েছেন মিঠুন। এবারের বিসিএল দিয়ে প্রথম ওপেনিংয়ে নেমে প্রথম ম্যাচেই পান সেঞ্চুরির দেখা। এবার করলেন বহুল কাঙ্ক্ষিত ডাবল সেঞ্চুরি।

মিঠুনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ২৮৩ রানের জুটি গড়া শুভাগত আউট হন ১২ চারে ১১৬ রান করে। দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষেই নিজের আগের ম্যাচে করেছিলেন তিনি ১৫২ রান।

৪ উইকেটে ১৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা মধ্যাঞ্চল এগিয়ে যায় মিঠুন ও শুভাগতর দারুণ ব্যাটিংয়ে। ১৮৬ বলে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে পঞ্চদশ সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ৬৭ রান নিয়ে খেলতে নামা শুভাগত।

এরপর বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। মেহেদি হাসানের বলে হয়ে যান এলবিডব্লিউ। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ২০৯ বলে দেড়শ স্পর্শ করেন মিঠুন।

জাকের আলিকে নিয়ে তিনি বাড়াতে থাকেন দলের রান। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টায় পেয়ে যান ডাবল সেঞ্চুরি। ২৮৭ বলে মেহেদির বলে সিঙ্গেল নিয়ে মাতেন উল্লাসে।

এর পরপরই তাকে থামিয়ে দেন রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হলে শেষ হয়ে মিঠুনের ৩০৬ বল ও ৪৮৪ মিনিট স্থায়ী ঝকঝকে ইনিংসটি। ভাঙে জাকেরের সঙ্গে তার ৭৫ রানের জুটি।

জাকের ১২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন। তিনিও এরপর টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৪ চারে ৫৩ রান করা এই কিপার-ব্যাটসম্যান কামরুল ইসলাম বাব্বির বলে ক্যাচ তুলে দেন।

ততক্ষণে চারশ ছাড়িয়ে যায় মধ্যাঞ্চলের রান, লিডও পেয়ে যায় দল। একটি ছক্কা ও ২ চারে ৩৪ করেন রবিউল হক। রবিউলকে কট বিহাইন্ডের পর শেষ দুই উইকেট দ্রুত তুলে নেন কামরুল।

আগের দিন দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নেওয়া ফরহাদ রেজা এদিন করেন কেবল ৬ ওভার। উইকেট পাননি আর। চারটি উইকেট নেন কামরুলও।

পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই এনামুল হককে হারায় দক্ষিণাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া হাসান মুরাদের বলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েন এই ওপেনার।

বাকিটা সময় নিরাপদে কাটিয়ে দেন পিনাক ঘোষ ও অমিত হাসান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৩৮৭

মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১৮৪/৪) ১২৭.৪  ওভারে ৪৩৮ (মিঠুন ২০৬, শুভাগত ১১৬, জাকের ৫৩, রবিউল ৩৪, আবু হায়দার ০, মুরাদ ৩, মুকিদুল ১*; নাসুম ২৮-৩-১০৫-০, ফরহাদ ১৮-৩-৫৩-৪, মেহেদি ২৯-৫-৯৫-১, মেহেদি রানা ২৩-৪-৬৫-০, কামরুল ১৭.৪-১-৭০-৪, রিশাদ ১২-০-৩৮-১)

দক্ষিণাঞ্চল ২য় ইনিংস: ১১ ওভারে ৪৩/১ (পিনাক ২২*, এনামুল ০, অমিত ২০*; আবু হায়দার ৩-১-১১-০, মুরাদ ৪-১-৯-১, শুভাগত ৩-০-১৭-০, মুকিদুল ১-০-৫-০)