দেশের মাটিতে টেস্টে বাংলাদেশের পেসারদের খুব একটা ভূমিকা থাকে না। তবে দেশের বাইরে এলে ডাক পড়ে তাদের। অনভিজ্ঞতার কারণে প্রায়ই তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেন না তারা। মেটাতে পারেন না দলের চাওয়া।
তবে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্টে প্রত্যাশা ভালোভাবেই মেটাতে পেরেছেন তারা। দুই ইনিংসেই ভালো বোলিং করেছেন তাসকিন। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। ম্যাচে ৫ উইকেট হয়ে গেছে ইবাদতের। এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে অভাবনীয় জয়ের আশা জাগিয়েছে, এতে তাদের আছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৫ উইকেটে ১৪৭। পাঁচ উইকেটই নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা।
৫ উইকেট হাতে নিয়ে কেবল ১৭ রানে এগিয়ে নিউ জিল্যান্ড। পঞ্চম ও শেষ দিনে তাদের সামাল দিতে হবে সফরকারীদের উচু মানের বোলিং। সুইং করাতে পেরেছেন বাংলাদেশের তিন পেসারই। কিছু বল রিভার্সও করাতে পেরেছেন। গতি ধরে রাখতে পেরেছেন অনেকটাই।
দিনের খেলা শেষে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় ইবাদত বললেন, পেস বোলিং বিভাগের উন্নতির জন্য তাদের মিলিত চেষ্টার ফলেই সম্ভব হয়েছে তাদের এমন বোলিং।
“দেশে ও দেশের বাইরে দুইটা কন্ডিশনে আমি খেলেছি। যেটা হয়েছে, দেশে আমাদের উইকেট একটু ব্যাটিং সহায়ক থাকে, ফ্ল্যাট থাকে। তো আমরা চেষ্টা করছি সেখানেও পেস বোলাররা কীভাবে উইকেট বের করতে পারি।
“এখন পর্যন্ত আমরা শিখছি কীভাবে দেশে ও বাইরের কন্ডিশনে বল করতে হয়। বল পুরান হয়ে গেলে কীভাবে রিভার্স করাতে হয় এবং রিভার্স করানোর জন্য যে টিম প্ল্যান থাকে সেটাও আমরা অনুসরণ করার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত আমরা শিখছি কীভাবে নতুন বল ও পুরান বলে এবং দেশে ও দেশের বাইরে কীভাবে বোলিং করতে হয়।”