চতুর্থ দিন শেষে টেস্ট যে মোড়ে দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে জয়টা বাংলাদেশের জন্য স্রেফ কয়েকটি সঠিক পদক্ষেপের দূরত্ব।
যে নিউ জিল্যান্ডে কোনো সংস্করণেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কোনো ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ, যেখানে সফরে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয় উপমহাদেশের সব দল, যারা এখন আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন, তাদের বিপক্ষে তাদের আঙিনাতেই অবিস্মরণীয় এক জয় এখন নাগালে। পেটে প্রজাপ্রতির নাচন অনুভব করার কথা এখন প্রত্যেক ক্রিকেটারের।
রোমাঞ্চ-উত্তেজনা বেশি পেয়ে বসলে অনেক সময় কাবু হয় স্নায়ু। তাতে ভুল করার শঙ্কাও বাড়ে। তবে লিটনের দাবি, সম্ভাব্য জয়ের রোমাঞ্চে বুঁদ নন তারা। ৮৬ রানের ইনিংস খেলে এই ম্যাচে বাংলাদেশের নায়কদের একজন এই ব্যাটসম্যান চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, শেষ দিনে আবেগ তাদের বশে থাকবে।
“এখন যে অবস্থায় আছি, আমরা ওভার এক্সাইটেড নই। আমাদের মাথায় আছে যে, এখনও পাঁচ উইকেট নিতে হবে এবং যত কম রান দেওয়া যায়, এই রানটা তো আমাদের তাড়া করতে হবে।”
“আমরা অনেক শান্ত ও স্থির আছি। আমাদের জিততেই হবে, এমন কথা নেই। আমরা একটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। এই কদিন সেই প্রসেসটা ধরে রেখে সফল হয়েছি, সামনেও হব বলে আশা করছি।”
চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের রান ৫ উইকেটে ১৪৭। প্রথম ইনিংসের ১৩০ রানের ঘাটতি থাকায় পুঁজি কার্যত এখন ৫ উইকেটে ১৭। উইকেটে থাকা রস টেইলর ও রাচিন রবীন্দ্র দলের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের জুটি।
এরপর কাইল জেমিসন ও টিম সাউদিরাও অবশ্য ব্যাটিং খারাপ করেন না। তবে তারা মূলত বোলার।
শেষ ইনিংসে কত রানের লক্ষ্য পাবে বাংলাদেশ, তা হবে কৌতূহল জাগানিয়া। তবে উইকেট কঠিন হয়ে উঠছে ক্রমেই। লিটনদের তাই চাওয়া, যত দ্রুত সম্ভব নিউ জিল্যান্ডকে গুটিয়ে দেওয়া।
“কাল নতুন দিন। উইকেট অতটা সহজ হবে বলে আমার মনে হচ্ছে না। কারণ যত দিন যাচ্ছে, উইকেটে কিছু না কিছু কাজ করছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে, যত কমে ওদের অল আউট করে দেওয়া যায়। এরপর সেই রানটা তাড়া করা।”
“কারণ যত কম দেব… ওই রানটা আমাদের তাড়া করতে হবে। খুব একটা যে সহজ হবে আমাদের ইনিংস, সেটিও কিন্তু নয়। আমাদেরও অনেক পরিশ্রম করে ব্যাটিং করতে হবে।”