১৩০ রানের লিড নিয়ে থামল বাংলাদেশ

ইয়াসির আলি চৌধুরির সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি ভাঙার পর দ্রুতই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। তৃতীয় নতুন বলে দ্রুত শেষ চার উইকেট হারানোর আগে অবশ্য নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে লিড শতরানে নিতে পেরেছে মুমিনুল হকের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2022, 00:27 AM
Updated : 4 Jan 2022, 00:27 AM

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের চতুর্থ দিন সকালে ৪৫৮ রানে থেমেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। স্বাগতিকদের ৩২৮ রানে থামানো দলটি নিয়েছে ১৩০ রানের লিড।

আগের দিন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান দেশের বাইরে অন্তত ৫০ বল খেলার কীর্তি গড়েন। ইয়াসির ও মিরাজ সেটা নিয়ে যান আটে।

সপ্তম উইকেটে ইয়াসির সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়ার পথে বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজার রান ও একশ উইকেটের ডাবল স্পর্শ করেন মিরাজ। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের লাগল ৩০ ম্যাচ। সাকিব আল হাসানের লেগেছিল ২৮ ম্যাচ। মোহাম্মদ রফিক ডাবল স্পর্শ করেন ৩৩ ম্যাচে।

বে ওভালে মঙ্গলবার ৬ উইকেটে ৪০১ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ড বোলিং শুরু করে রাচিন রবীন্দ্র ও নিল ওয়্যাগনারকে দিয়ে। তাদের ওভারে দুবার সফল রিভিউ নিয়ে বাঁচেন মিরাজ।

বাঁহাতি স্পিনার রাচিনকে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলে রিভিউ নেন। আল্ট্রাএজে দেখা যায় তার গ্লাভস ছুঁয়ে গিয়েছিল বল।

পরের ওভারে ওয়্যাগনারের বলে আবার এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। এবার রিভিউ নিলে দেখা যায় মিরাজের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গিয়েছিল বল।

১৬০ ওভার হয়ে যেতেই তৃতীয় নতুন বল নেয় নিউ জিল্যান্ড। আক্রমণে ফিরেন টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট। সাউদির বলে দারুণ স্ট্রেট ড্রাইভে বাউন্ডারি মারেন ইয়াসির।

২১ ও ২৪ রানে ‘বেঁচে যাওয়া’ মিরাজ ও তিনি দ্বিতীয় নতুন বল খেলতে থাকেন অনায়াসে। যদিও কেবল দিনের শুরু তবুও দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলা থেকে ফিল্ডিং করায় কিউই বোলারদের বোলিংয়ে ক্লান্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ কম ছিল তাদের গতি।

বোল্টকে পুল করে বাউন্ডারি হাঁকানো মিরাজ খেলেছেন চমৎকার কিছু ব্যাক ফুট পাঞ্চ। দিনের দশম ওভারে বোল্টের বলে এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারে চারে বাংলাদেশের লিড ছাড়ায় একশ।

১৬০ বল স্থায়ী ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন সাউদি। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পড়ে আরও বেরিয়ে যাওয়া বল তাড়ার চেষ্টায় কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন মিরাজ। ৮৮ বলে আট চারে তিনি করেন ৪৭ রান।

এরপরই পাল্টে যায় চিত্র। উজ্জ্বীবিত নিউ জিল্যান্ডের সামনে দ্রুতই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার। 

মিরাজের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরেন ইয়াসির। কাইল জেমিসনের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ফ্লিক করার চেষ্টায় ধরা পড়েন টম ব্লান্ডেলের গ্লাভসে।

টেস্টে ৪৩৩ বল পর উইকেটের দেখা পাওয়া সাউদিকে পরের উইকেটের জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। তাসকিন আহমেদকে এলবিডব্লিউ করেন এই পেসার।

শরিফুল ইসলামকে বোল্ড করে বাংলাদেশের ইনিংস থামিয়ে দেন বোল্ট। ১৩ রানে শেষ ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা। 

চতুর্থ দিন ২০.২ ওভারে ৫৭ রান যোগ করে বাংলাদেশ। তিন দিন মিলিয়ে খেলে ১৭৬.২ ওভার, টেস্টে যা তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩২৮

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: (আগের দিন ৪০১/৬) ১৭৬.২ ওভারে ৪৫৮ (ইয়াসির ২৬, মিরাজ ৪৭, তাসকিন ৫, শরিফুল ৭, ইবাদত ০*; সাউদি ৩৮-৪-১১৪-২, বোল্ট ৩৫.২-১১-৮৫-৪, জেমিসন ৩৫-১১-৭৮-১, ওয়্যাগনার ৪০-৯-১০১-৩, রবীন্দ্র ২৮-৪-৬৭-০)