নিষেধাজ্ঞা শেষে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজে ফিরে স্বপ্নের মতো একটি সিরিজ কাটিয়েছিলেন স্মিথ। সাত ইনিংসে ১১০.৫৭ গড়ে তিন সেঞ্চুরিতে করেছিলেন ৭৭৪ রান। এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজে এখনও পর্যন্ত তাকে ভালোভাবেই আটকে রাখতে পেরেছে ইংল্যান্ডের বোলাররা। অ্যাডিলেইডে দ্বিতীয় টেস্টে নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ৯৩ রানের একটি ইনিংস তিনি খেলেন বটে, তবে বাকি তিন ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান ১৬।
২০২০-২১ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তিন ইনিংসে দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই আউট হওয়ার পর সিডনিতে স্মিথ খেলেছিলেন ১৩১ ও ৮১ রানের দারুণ দুটি ইনিংস। বল টেম্পারিংয়ের নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর দেশের মাটিতে টেস্টে সেটিই এখনও পর্যন্ত তার একমাত্র সেঞ্চুরি।
সেই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই আগামী বুধবার চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে প্রথম তিন টেস্টেই জেতা অস্ট্রেলিয়া। সোমবার প্রত্যয়ী কণ্ঠে স্মিথ বলেন, তার ব্যাটে বড় ইনিংস এলো বলে।
“আমি সবশেষ সেঞ্চুরি করার পর বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেছে, অ্যাডিলেইডে (সেঞ্চুরির) কাছাকাছি গিয়েছিলাম। প্রথম তিন টেস্টে আমরা বোলার-বান্ধব উইকেটে খেলেছি। যেখানে একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে কেউ ভালো বল করতে পারে।”
“মূল বিষয়টি ছিল যতটা সম্ভব উইকেটে টিকে থাকা, ভালোভাবে ডিফেন্স করা এবং বল ছেড়ে দেওয়া। এই সিরিজে যারা রান করেছে তারা এগুলো ভালোভাবে করেছে। ছন্দ খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। আশা করছি, এই সপ্তাহে বড় ইনিংস খেলতে পারব।”
মেলবোর্নে দ্বিতীয় দিন ৬ ওভারের দুর্দান্ত এক স্পেলে ৫টি মেডেনে ১ রান দিয়ে স্মিথের উইকেটটি নিয়েছিলেন ৩৯ বছর বয়সী পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। দিনের শেষ ঘণ্টায় অসাধারণ বোলিং উপহার দেন অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স।
“সম্ভবত আমার জীবনে এমন সিম মুভমেন্ট দেখিনি। সেদিন সন্ধ্যায় যে বলটি (হাসিব) হামিদকে আঘাত করেছিল, সেটি অফ স্পিনারের বলের মতো এসেছিল। আমার ক্যারিয়ারে যে কোনো উইকেটে বল যতটা সিম করতে দেখেছি, সেটি ঠিক তাই ছিল। (ব্যাটিংয়ের) কাজটি তাই সহজ ছিল না। আমাদের বোলাররা তাদের লাইন ও লেংথে ধারাবাহিক ছিল।”
স্মিথের চোখে ‘বোলার-বান্ধব’ উইকেট হলেও ব্রিজবেন ও অ্যাডিলেইডে চারশ পার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে তাদের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে ক্যামেরন গ্রিন ছাড়া বাকি সবার অন্তত একটি হাফ সেঞ্চুরি আছে।