পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে এমনিতেই খেলার কথা ছিল না ডি ককের। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে হারের কয়েক ঘণ্টার পর এই সংস্করণ থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ২৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
ওই দিন সন্ধ্যায় দলকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান ডি কক। তবে এমন পরিকল্পনার কথা আগেই দলের কিছু সদস্যকে জানিয়েছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এলগার তাদের মধ্যে ছিলেন না।
সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে জোহানেসবার্গে সোমবার দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এলগার বলেন, ডি কক এভাবে অবসর নেবেন বলে কোনো ধারণাই তার ছিল না।
“আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। জানতাম না এমন কিছু ঘটতে চলেছে। কিন্তু সেই সন্ধ্যায় কুইনির (ডি কক) সঙ্গে কথা হয় এবং সে আমাকে কারণ ব্যাখ্যা করে। তার সিদ্ধান্তকে আমি খুব সম্মান করি এবং সে যে পরিস্থিতিতে আছে তা পুরোপুরি বুঝতে পারছি। আশা করি, একদিনের ক্রিকেটে এমন কিছু হবে না।”
সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের বাইরের নানা বিতর্কে জেরবার দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে মাঠের ভেতরের সময়ও ভালো কাটছে না। লম্বা সময় ধরে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া দল চেষ্টা করছে থিতু হওয়ার। সেই পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন ডি কক।
তাই তার অবসরের সিদ্ধান্তকে সম্মান করলেও বিষয়টি এলগার যে খুব ভালোভাবে নিতে পারেননি, তার কথায় তা স্পষ্ট। তবে দলের মাঝে এর প্রভাব পড়বে না বলেই বিশ্বাস অধিনায়কের।
“দলে কুইনির না থাকা আমার জন্য হতাশাজনক। এটি এমন একটা বিষয়, যা পেছনে ফেলে আমাকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ, জানি আমাদের আরও প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, তাদের প্রতি এখন আমাকে অনেক মনোযোগ দিতে হবে...যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি পেছনে ফেলতে হবে।”
“সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বেশ কিছু ধাক্কা খেয়েছি। অনেক কিছুর মধ্যে এটা আরেকটি ঘটনা যে বিষয়টাকে আমাদের ভালোভাবে সামলাতে হবে এবং এই ধাক্কা আমাদের কাটিয়ে ওঠা দরকার, কারণ খেলা চলবে। আমি মনে করি না এটা (ডি ককের অবসর) খেলোয়াড়দের প্রভাবিত করবে। যদিও তারা এখনও তার অবসরের সিদ্ধান্তে হতবাক।”
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৫৪ টেস্ট খেলা ডি কক অবসর ঘোষণার দিন বলেছিলেন, খুব কঠিন হলেও পরিবারের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।