সাদমান ইসলামকে ফিরিয়ে নিউ জিল্যান্ডকে প্রথম উইকেট এনে দেওয়া ওয়্যাগনারই পেতে পারতেন আরেকটি উইকেট। তার দারুণ এক ডেলিভারি লাগে মাহমুদুলের প্যাডে। খালি চোখেই মনে হচ্ছিল, বিপদ আছে ব্যাটসম্যানের। তবে জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
স্টাম্প মাইকে তখন ধরা পড়ে কিউইদের কথোপকথন। বল ব্যাটে লেগেছে কিনা, সতীর্থদের কাছে এটি বারবার জানতে চাইছিলেন ওয়্যাগনার। শেষ পর্যন্ত রিভিউ নেননি কিউইরা। পরে স্নিকোমিটারে ফুটে ওঠে, বল লাগেনি তার ব্যাটে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লাগছিল মিডল স্টাম্পে।
মাহমুদুলের রান ছিল তখন কেবল ২০। সেই ব্যাটসম্যান দুই সেশনের বেশি একপ্রান্ত আঁকড়ে রেখে দিন শেষ করেন ২১১ বলে ৭০ রান নিয়ে। বাংলাদেশের ইনিংসের হাল ধরে রেখেছেন তিনিই।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওয়্যাগনার জানালেন রিভিউ না নেওয়ার কারণ।
“আজকে বেশ বাতাস ছিল। স্পষ্ট একটা শব্দ হয়েছিল। মনে হচ্ছিল, ব্যাটের কানায় লেগেছে বল। আমি জিজ্ঞেস করছিলাম (সতীর্থদের), তার ব্যাটে লেগেছে কিনা। স্টাম্পের পেছনে থাকা ছেলেরা বলছিল, লাগেনি। তবে আমার প্রান্তের স্টাম্পের পাশে থাকা দুজন বলছিল, ওরা শব্দ শুনেছে। ওরা বলছিল, ব্যাটে লেগেছে। আমার মনে হচ্ছিল, ব্যাটে না লাগলে নিশ্চিত আউট।”
“আমরা সবাই মিলেই সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা খেলারই অংশ। আম্পায়ারও কিন্তু মনে করেছিল, ব্যাটে লেগেছে। শব্দ পেয়েই তিনি আউট দেননি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি যা শুনেছিলাম, হয়েছে এর উল্টো। এরকমই হয় আর কী!”