নিউ জিল্যান্ডে ৭ টেস্ট খেলে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬টি ফিফটি তামিম ইকবালের, ব্যাটিং গড় ৪৭.৮৪, স্ট্রাইক রেট ৭৮.৬৩। সেখানে সাকিবের রেকর্ড তো আরও ভালো। চার টেস্ট খেলে দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি তার। রান করেছেন ৭৩.৮৫ গড়ে, স্ট্রাইক রেট ৭২.৩০।
সাকিব ও তামিমের স্ট্রাইক রেটই বলছে, এখানে কতটা দ্রুততায় রান তোলেন তারা। চলতি মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্র ছিল ভিন্ন। সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় রোববার ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন ১৮ ওভার খেলে। পরের জুটিতে মাহমুদুল ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৪ রান যোগ করেন প্রায় ৪০ ওভার খেলে।
মাহমুদুল ৭০ রান নিয়ে দিন শেষ করেন ২১১ বল খেলে। শান্ত আউট হন ১০৯ বলে ৬৪ করে।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওয়্যাগনার বললেন, বাংলাদেশের ওই অভিজ্ঞদের চেয়ে এই তরুণদের ব্যাটিংয়ের ঘরানা আলাদা।
“তরুণ যারা আছে এখানে, আজকে অসাধারণ খেলেছে। ধৈর্য নিয়ে খেলেছে। খুব বেশি সুযোগ ওরা দেয়নি, উইকেট আগলে রেখেছে। অনেক বল ছেড়েছে ওরা। উইকেট নেওয়ার জন্য আমাদের তাই নানারকম কিছু চেষ্টা করতে হয়েছে। এতে ওরা রান করার সুযোগ পেয়েছে। অনেক ভালো খেলেছে ওরা, কৃতিত্ব ওদের।”
নিউ জিল্যান্ডে সাকিব, তামিম, মুশফিকুর রহিমদের দারুণ কিছু ইনিংস যেমন আছে, তেমনি ব্যাটিং ধসের নজিরও আছে অনেক। এবার তামিম-সাকিববিহীন ব্যাটিং লাইন আপকে নিয়ে শঙ্কা ছিল বেশ। তবে প্রথম অভিযানে এখনও পর্যন্ত তারা এগিয়ে চলেছে দারুণভাবে। দ্বিতীয় দিনে ৭০ রানের মধ্যে কিউইদের শেষ ৫ উইকেট নেওয়ার পর নিজেরা ব্যাটিংয়ে দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ১৭৫ রানে। দিনটি পুরোপুরিই বাংলাদেশের।
ওয়্যাগনার বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিয়েই শোনালেন তৃতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ানার আশাবাদ।
“পুরো কৃতিত্ব বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ওরা সত্যিই ভালো খেলেছে। অনেক ধৈর্য দেখিয়েছে তারা, লড়াই করেছে। কাজটা কঠিন নয় ওখানে। কঠিন লড়াইয়ের একটি দিন ছিল।”
“আমরাও যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। তবে দুই প্রান্ত থেকে যথেষ্ট চাপ তৈরি করতে পারিনি। সবাই জোর চেষ্টা করেছে, তবে দিনটি আমাদের ছিল না। এটাই টেস্ট ক্রিকেটে। কালকে আমাদের সুযোগ আছে আরও বেশি চেষ্টা করার ও দ্রুত উইকেট নেওয়ার।”