ছুটি নেওয়ায় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দলে নেই সাকিব। যে কোনো মাঠে, যে কোনো সংস্করণেই তার অভাব অনুভব করে বাংলাদেশ। তবে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তার না থাকাটা হয়ত বেশিই পোড়াবে সফরকারীদের।
নিউ জিল্যান্ডে ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা পারফরম্যান্স সাকিবের। ৪ টেস্টে ৮ ইনিংসে ৭৩.৮৫ গড়ে তার রান ৫১৭। দুই সেঞ্চুরির পাশে ফিফটি দুটি। তিনি ছাড়া ৫০ এর বেশি গড় আছে কেবল সৌম্য সরকারের। বাঁহাতি এই ওপেনারও নেই দলে।
সর্বোচ্চ দুটি করে সেঞ্চুরিতে সাকিবের পাশে আছেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট সিরিজ থেকে অবসর নেওয়ায় দলে নেই তিনি। নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। ৭ টেস্ট ৬২২ রান করা বাঁহাতি ওপেনারও আঙুলের চোটে খেলছেন না।
এখানে সাকিবের ৯ উইকেটের চেয়ে বেশি আছে কেবল মাশরাফি বিন মুর্তজার। ৪ ম্যাচে এই পেসারের উইকেট ১১টি। অন্তত ২৫ ওভার বোলিং করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে কেবল সাকিবেরই ইকোনমি তিনের নিচে।
এমন একজনের জায়গা নেওয়া সহজ নয়। তার অভাব পূরণ করাও সহজ নয়। সাকিবকে ছাড়া সবসময়ই সঠিক ভারসাম্যপূর্ণ দল গঠন করতে ভুগতে হয় বাংলাদেশের। এত কিছুর পরও দলের এই বড় শূন্যতায় তরুণদের লাভ দেখছেন ডমিঙ্গো।
“সাকিবকে না পাওয়া অবশ্যই বড় ক্ষতি। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সে। আমাদের দলের ভারসাম্যও দারুণ হয় তাকে পেলে। সে শীর্ষ ছয়ে ব্যাট করে এবং বিশেষজ্ঞ বোলার। এরকম খুব বেশি কেউ নেই। তাকে না পাওয়া তাই বড় শূন্যতা। তবে এটি তরুণদের জন্য সুযোগ।”