কোভিড পজিটিভ হেড, শঙ্কায় দলে নেওয়া হলো তিনজনকে

চলতি অ্যাশেজ সিরিজে কোভিডের থাবা চলছেই। মেলবোর্ন থেকে অস্ট্রেলিয়া দলের সিডনি উড়াল দেওয়ার আগ মুহূর্তে জানা গেছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ট্রাভিস হেড। পিছিয়ে গেছে তাই গোটা দলের যাত্রা। আরও কোভিড আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় কাভার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া দলে যুক্ত করা হয়েছে মিচেল মার্শ, নিক ম্যাডিনসন ও জন ইংলিসকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2021, 04:34 AM
Updated : 31 Dec 2021, 09:22 AM

এর আগে ইংল্যান্ড দলের তিন সাপোর্ট স্টাফ ও পরিবারের চার সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। পরিবারের একজন আক্রান্ত হওয়ায় আইসোলেশনে আছেন ইংল্যান্ডের কোচ ক্রিস সিলভারউড। এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন ম্যাচ রেফারি ও সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ডেভিড বুন। ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে দুই দল মিলিয়েই প্রথম আক্রান্ত হেড।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বিবৃতিতে জানায়, শুক্রবার সকালে দুই দলের সবার নিয়মিত পিসিআর পরীক্ষাতেই পজিটিভ হন হেড। তেমন কোনো উপসর্গ তার নেই এই মুহূর্তে। আপাতত সঙ্গীনির সঙ্গে মেলবোর্নেই আইসোলেশনে থাকবেন তিনি।

প্রথম তিন টেস্টেই জিতে অ্যাশেজ ধরে রাখা নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। তার পরও হেডকে হারানো দলের জন্য বড় ধাক্কা। চলতি অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী তিনিই। ৩ টেস্টে একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রান করেছেন ২৪৮।

হেডের জায়গায় সিডনি টেস্টে নিশ্চিতভাবেই একাদশে জায়গা পাবেন আগে থেকেই স্কোয়াডে থাকা উসমান খাওয়াজা। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০১৯ অ্যাশেজের পর আবার ব্যাগি গ্রিন মাথায় পরে মাঠে নামবেন তিনি। তবে কোভিড যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে আরও আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা প্রবলভাবেই আছে। এজন্যই দলে নেওয়া হয়েছে মার্শ, ম্যাডিনসন ও ইংলিসকে।

অলরাউন্ডার মার্শ তার ৩২ টেস্টের সবশেষটি খেলেছেন ২০১৯ অ্যাশেজে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ম্যাডিনসন তিনটি টেস্ট খেলেছেন ২০১৬ সালে। এবার শেফিল্ড শিল্ডে ২ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ২৫০ রান। পরে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে ইংল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে আনঅফিসিয়াল টেস্টে খেলেন ৭১ রানের ইনিংস। কিপার-ব্যাটসম্যান ইংলিস এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে। অ্যাশেজের আগেও তিনি আলোচনায় ছিলেন টিম পেইনের সম্ভাব্য বদলিদের একজন হিসেবে। পরে সুযোগটি পান অ্যালেক্স কেয়ারি।

এই তিনজন অবশ্য মূল স্কোয়াডের অংশ হচ্ছেন না। স্রেফ দলের সঙ্গে রাখা হচ্ছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে।

তবে অ্যাশেজ সিরিজ ঠিকভাবে শেষ হওয়া নিয়ে এখন শঙ্কা বেড়ে গেল আরও। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যদিও আশাবাদী, সিরিজ ভালোভাবেই এগিয়ে যাবে। শুক্রবার দুই দলের একই চার্টার্ড ফ্লাইডে সিডনি যাওয়ার কথা থাকলেও হেড পজিটিভ হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত সতর্কতা হিসেবে আলাদা চার্টার্ড ফ্লাইটে যাচ্ছে দুই দল।

সিডনি টেস্ট শুরু হবে আগামী বুধবার থেকে। শেষ টেস্ট ১৪ জানুয়ারি থেকে, হোবার্টে।