তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরিয়নে ভারতের জয় ১১৩ রানে।
এই মাঠের ২৭ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার হার ছিল স্রেফ দুটি, ড্র ছিল দুটি। বাকি সব ম্যাচে জয় প্রোটিয়াদের, ইনিংস ব্যবধানে জয়ই আছে ৮টি। সেখানেই এবার ভারত জিতল দারুণ দাপটে।
সফরকারী দলগুলির মধ্যে এবারের আগে এখানে ২০১৪ সালে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া, ২০০০ সালে ইংল্যান্ড।
ম্যাচের জয়ের ক্ষেত্র আগের দিনই তৈরি করে ফেলেছিল ভারত। শেষ দিনে যদিও আশা জিইয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকারও। তবে ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে প্রোটিয়া ব্যাটিং দাঁড়াতেই পারেনি তেমন।
দিনের শুরুটা ভালোই করেছিলেন ডিন এলগার ও টেম্বা বাভুমা। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান নিরাপদে কাটিয়ে দেন দিনের প্রথম ১০ ওভার। এরপরই হজম করে তারা বড় ধাক্কা। জাসপ্রিত বুমরাহর লেংথ থেকে ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান এলগার।
৫২ রানে দিন শুরু করা প্রোটিয়া অধিনায়ক থামেন ৭৭ রানে।
এরপর আরেকটি জুটি গড়ে ওঠার আভাস ছিল বাভুমা ও কুইন্টন ডি ককের ব্যাটিংয়ে। কিন্তু মোহাম্মদ সিরাজের বাইরের বল কাট করার চেষ্টায় ডি কক টেনে আনেন স্টাম্পে। ২১ রানে তার বিদায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ আশাও শেষ হয়ে যায়।
এরপর এক প্রান্তে বাভুমা পড়ে থাকলেও আরেকপ্রান্ত একের পর এক ব্যাটসম্যানের আসা-যাওয়া চলতে থাকে। ৩০ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে তারা গুটিয়ে যায় লাঞ্চের পরপরই।
প্রথম ইনিংসের দুই উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরাহর শিকার তিনটি। প্রথম ইনিংসের পাঁচটির সঙ্গে মোহাম্মদ শামি যোগ করেন আরও তিনটি। উইকেটশূন্য প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে পরপর দুই বলে দুটি উইকেট নিয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সের ম্যাচে প্রথম ইনিংসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ম্যাচের সেরা ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুল।
চলতি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের এটি আট ম্যাচে চতুর্থ জয়।
ভারত বছরের শুরুটা করেছিল সিডনিতে বীরোচিত এক ড্র দিয়ে। এরপর ব্রিজবেন দুর্গ জয় করে চোট জর্জর ভাঙাচোরা দল নিয়েও অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ে তারা। বছরের শেষটাও করল তারা নতুন ইতিহাস রচনার আশা জাগিয়ে।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট সোমবার থেকে জোহানেসবার্গে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৩২৭
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৯৭
ভারত ২য় ইনিংস: ১৭৪
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩০৫, আগের দিন ৯৪/৪) ৬৮ ওভারে ১৯১ (এলগার ৭৭, বাভুমা ৩৫, ডি কক ২১, মুল্ডার ১, ইয়ানসেন ১৩, রাবাদা ০, এনগিডি ০; বুমরাহ ১৯-৪-৫০-৩, শামি ১৭-৩-৬৩-৩, সিরাজ ১৮-৫-৪৭-২, শার্দুল ৫-০-১১-০, অশ্বিন ৯-২-১৮-২)।
ফল: ভারত ১১৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ভারত ১-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: লোকেশ রাহুল।