দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে চলতি বক্সিং ডে টেস্টে দুই ইনিংসেই শরীর থেকে দূরে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন কোহলি। এমনিতে বাইরের বল তাড়া করা তার জন্য নতুন নয়। প্রচুর রান তিনি করেন এই শটে। টাইমিং ও অন্য সবকিছু ঠিকঠাক হলে দেখতেও দারুণ লাগে।
কিন্তু যখন ব্যাটে ঠিকঠাক লাগে না আর পা এগোয় না, আউট হলে তখন দেখতে লাগে দৃষ্টিকটু। এই টেস্টে যেমন কোহলির দুটি আউটের ধরনই ছিল চোখে লাগার মতো।
এই দুই আউট দিয়ে কোহলির আরেকটি সেঞ্চুরিবিহীন বছরও শেষ হলো। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে বিপক্ষে কলকাতা টেস্টে সেঞ্চুরি পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেই তার সেঞ্চুরি নেই টানা ৬০ ইনিংস ধরে।
এই সময়টায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য তার সময় খারাপ কাটেনি। ওয়ানডেতে ১৫ ইনিংসে ৮টি ফিফটি করেছেন, ব্যাটিং গড় ৪৩.২৬। টি-টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স তো দুর্দান্ত। ২০ ইনিংসে ফিফটি ৭টি, ব্যাটিং গড় ৫৯.৭৬। তবে হতাশাজনক পারফরম্যান্স টেস্টে। এই সময়টায় ২৫ টেস্ট ইনিংসে তার ফিফটি কেবল ৫টি, ব্যাটিং গড় ২৬.০৮।
টেস্টে তার বাজে সময়ের প্রতিচ্ছবিই যেন সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের বাজে দুই শট। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ ব্যাটিং কোচ রাঠোর তুলে ধরলেন, কোহলির কোথায় সতর্ক হওয়া উচিত।
“এই শট তাকে অনেক রান এনে দিয়েছে। তার স্কোরিং শট এটি। কোনো একটি শট না খেললে, ওই শটে আর আউট হওয়ার শঙ্কা থাকে না। কিন্তু তখন রান করারও তো সুযোগ নেই! এই শট তাকে খেলতে হবেই। তবে ক্রিকেটে সবসময়ই শক্তির শটই হয়ে উঠতে পারে দুর্বলতা।”
“কখন শটটি খেলতে হবে, এটি নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা চলছে আমাদের। ওই বলটি কি উপযুক্ত ছিল? ওই শট খেলার জন্য সঠিক পরিস্থিতি ছিল? স্রেফ পরিকল্পনা আরেকটু আঁটসাঁট করলেই চলবে। ওই শট সে ভালো খেলে এবং অনেক রানও করে। কিন্তু শট খেলার আরেকটু ভালো বল তাকে বাছাই করতে হবে।”