অবসরের আগে ওয়ার্নারের দুই চাওয়া

বয়স পেরিয়েছে ৩৫। টেস্ট ক্রিকেটে হয়তো আর খুব বেশি দিন দেখা যাবে না ডেভিড ওয়ার্নারকে। এই সংস্করণ থেকে অবসরের আগে দুটি ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে তিনি জিততে চান অ্যাশেজ সিরিজ। সিরিজ জয়ের উৎসব করতে চান ভারতের মাটিতেও।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2021, 11:27 AM
Updated : 29 Dec 2021, 11:27 AM

গত সেপ্টেম্বরে আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দল থেকে বাদ পড়ার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ওয়ার্নারের কাটে দারুণ। তিনি জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার, প্রথমবারের মতো এই সংস্করণের বিশ্বকাপে শিরোপার স্বাদ পায় অস্ট্রেলিয়া।

লাল বলের ক্রিকেটেও তাদের সময়টা কাটছে দারুণ। ঘরের মাঠে প্রথম তিন টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে অ্যাশেজ সিরিজ জয়। ৬০ গড়ে ২৪০ রান করে এখন পর্যন্ত সিরিজের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ওয়ার্নার।

ইংল্যান্ডে ২০২৩ সালের অ্যাশেজের সময় ওয়ার্নারের বয়স হবে ৩৭। টেস্ট ক্রিকেটে থামার আগে আরও কিছু চাওয়া পূরণ করতে চান তিনি।

“এখনও ভারতে ভারতকে হারাতে পারিনি। সেটা করতে পারলে ভালো লাগবে। আরেকটি ইচ্ছা, ইংল্যান্ডের মাটিতে জেতা। ২০১৯ সালে ড্র হয়েছিল সিরিজ। আশা করি, আমি যদি আরেকবার সুযোগ পাই সেখানে যাব।”

ইংল্যান্ডে তিনবারের সফরে ওয়ার্নার খেলেছেন ১৩ টেস্ট। ভারতে দুই সফরে টেস্ট খেলেছেন তিনি আটটি। এই পাঁচ সিরিজের চারটিতে অস্ট্রেলিয়া হেরেছে।

এই দুই দেশে ওয়ার্নারের রেকর্ডও ভালো নয়। ইংল্যান্ডে তার ব্যাটিং গড় ২৬, ভারতে ২৪। নেই কোনো সেঞ্চুরি। বিবর্ণ এই পরিসংখ্যান নিশ্চয় তিনি বদলাতে চাইবেন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চলতি অ্যাশেজে দারুণ পারফর্ম করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বয়সকে কোনো বাধা হিসেবে দেখছেন না। উদাহরণ দিলেন প্রতিপক্ষ দলের ৩৯ বছর বয়সী একজনকে দিয়ে।

“আমি মনে করি, বয়স্কদের জন্য এখন দৃষ্টান্ত তৈরি করছেন জেমস অ্যান্ডারসন। তার দিকে আমরা তাকাই কারণ, আমরাও ওই দিনগুলোতে যাচ্ছি। কিন্তু আমার কাজ হলো সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে যাওয়া এবং স্কোরবোর্ডে অবদান রাখা।”

“প্রথম দুই টেস্টে আমার নিজেকে একজন যথার্থ ব্যাটসম্যানের মতো মনে হয়েছে। আমার ক্যারিয়ারে অন্যভাবে খেলেছি। তাদের বোলিং এবং লাইন-লেংথকে সমীহ করতে হয়েছে। মনে হচ্ছে ভালো ফর্মে আছি। যেমনটা বলেছি, আমি রানের বাইরে ছিলাম, ফর্মের বাইরে না। আশা করি, নতুন বছরে আমি আরও বেশি অবদান রাখতে পারব।”