আঙুলের চোট ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ক্রিকেট থেকে নেওয়া বিরতি- এই দুইয়ে মিলিয়ে লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে ছিলেন স্টোকস। খেলেননি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। এরপর মাঠে ফিরেছেন অ্যাশেজ দিয়েই।
দীর্ঘ বিরতির পর ক্রিকেটে ফেরা ৩০ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডরের মাঝে আগের সেই আক্রমণাত্মক মানসিকতার কমতি দেখছেন পন্টিং। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে রোববার তিনি বলেন, ২২ গজে দেখা যাচ্ছে না আগের স্টোকসকে।
“তাকে অতি-রক্ষণাত্মক দেখাচ্ছে। ক্রিজে তার সেই বিশাল, শারীরিকভাবে আক্রমণাত্মক উপস্থিতি দেখা যায়নি, যেটা দেখে প্রতিপক্ষ দলগুলো অন্য সিরিজগুলোতে তাকে বল করতে ভয় পেত।”
অধিনায়ক হিসেবে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা পন্টিং মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে সাফল্য পেতে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে হবে স্টোকসকে।
“কিন্তু আমি মনে করি, কেউ যদি একটু রক্ষণাত্মক থাকে, অপেক্ষা করে এবং দুর্দান্ত বোলারদের ওপর চাপ ফিরিয়ে না দেয়, তারা তাকে আউট করে দেবে। আমি যে দলে খেলতাম আমরা সবসময় বলতাম যে, বোলার যত ভালো, ব্যাটার হিসেবে আপনাকে তত বেশি ঝুঁকি নিতে হবে কারণ আপনি স্রেফ খারাপ বল পাবেন না।”
“খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও কিছুটা ঝুঁকি নেওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে, যতটা সম্ভব প্রান্ত বদল করতে হবে।”
সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে ভোগাচ্ছে তাদের টপ অর্ডার। মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও সেই একই চিত্র দেখা গেছে। মাত্র ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা।
টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক পন্টিংয়ের মতে, দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে স্টোকসের ওপর।
“সে সম্ভবত এটা জেনেই খেলছে যে, পাঁচ নম্বর পজিশনে রান করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সে হয়তো একটু বেশিই চেষ্টা করছে। যদি জো রুট ছাড়া সবাইকে দেখি, তাহলে আমি বলব, টেকনিক্যালি সে তাদের দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড়।”
সিরিজে ইংল্যান্ডের ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য রুট, স্টোকস ও কিপার-ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পন্টিং। তার মতে, এই তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলা উচিত।
“যদি দলের নেতারা তাদের কাজটি ঠিকঠাকমতো করতে না পারে, তাহলে আশা করা যায় না যে তরুণরা সেই কাজটি সম্পন্ন করবে।”
“সিনিয়র খেলোয়াড়দের কাছ থেকে তরুণরা শিখছে এবং যখন সিনিয়র খেলোয়াড়রা এমন উদাহরণ স্থাপন করছে, তখন বোঝা যায় যে কেন কিছু তরুণরাও ভুল করছে।”