ড্রাফটের আগের দিন পর্যন্ত যে চিত্র ছিল, তাতে দল নিশ্চিত ছিল না কারও। শেষ মুহূর্তে নাটকীয় পালাবদলে মালিকানা বদল হয় ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির। বিসিবি এই দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর ড্রাফটের কয়েক ঘণ্টা আগে তারা দলে নেয় মাহমুদউল্লাহকে। পরে ড্রাফটে প্রথম ডাকে তারা নেয় তামিমকে, তৃতীয় ডাকে মাশরাফিকে।
দেশের ক্রিকেটের এই তিন তারকা একসঙ্গে বিপিএলে এক দলে খেলবেন এবারই প্রথম।
গতবছর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে জেমকন খুলনায় একসঙ্গে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান। শেষদিকে তাদের সঙ্গে যোগ হন মাশরাফি। তবে শুরু থেকেই সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে নেয় এই দলই।
তিন বড় তারকা এবার এক দলে, সোমবার বিপিএল ড্রাফটের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল সেটিই। ড্রাফটের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বললেন, তাকেও ছুঁয়ে যাচ্ছে রোমাঞ্চ।
“বেশ রোমাঞ্চকর এটা যে আমি, মাশরাফি ভাই ও রিয়াদ ভাই এক দলের খেলব। আমি নিশ্চিত যে, দর্শকদের জন্য বড় ব্যাপার হবে। দিনশেষে আমরা চাই ভালো করতে। ড্রাফট যেভাবে গিয়েছে, আমরা বেশ সন্তুষ্ট তাতে।”
“সাধারণ যেটা হয়, আমরা তিনজন তিন দলে থাকি। এবার সৌভাগ্যবশত একসঙ্গে হয়েছি, খুব খুশি আমি। ক্রিকেটে জেতা বা হারাটাই সব নয়। উপভোগ করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গোটা বিশ্বেই জিজ্ঞেস করেন, উপভোগ করতে না পারলে তারা খেলবে না। আমরা তিনজন একসঙ্গে থাকলে এমনিতেই উপভোগ্য হয়।”
দলের অধিনায়ক কার হওয়া উচিত, এই প্রশ্নে কোনো সংশয়ই নেই বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের।
“এখানে কোনো প্রশ্নই থাকা উচিত নয়। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের জাতীয় দলের অধিনায়ক রিয়াদ ভাই এবং অবশ্যই তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। আমাদের কাজ হলো উনাকে যতটুকু সম্ভব সমর্থন করা।”
মাহমুদউল্লাহ নেতৃত্ব নিয়ে এখনই মাথা ঘামাতে রাজি নন। দায়িত্বপ্রাপ্তদের ওপর তিনি ছেড়ে দিলেন সিদ্ধান্তের ভার।
“এখনও তো ঘোষণা করা হয়নি (অধিনায়ক)… যেহেতু এই মুহূর্তে এটা বিসিবির অধীনে, উনারাই পরে ঘোষণা করবেন।”