বিপিএলের ঢাকা দল এবার ড্রাফটের আগে দলে নেয় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে। পরে প্লেয়ার্স ড্রাফটে তারা প্রথম ডাকেই নিয়ে নেয় তামিমকে।
গত কয়েক মাসে এই দুজনের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে দেশের ক্রিকেটে। যেটির সূত্রপাত, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে তামিম নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর। বিশ্বকাপের দল নির্বাচনী সভায় মাহমুদউল্লাহ খুব একটা জোর দিয়ে তামিমকে দলে চেয়েছিলেন কিনা, মনোমালিন্যের কারণেই তামিমের অমন সিদ্ধান্ত কিনা, সব মিলিয়ে দুজনের সম্পর্কের অবনতির অনেক জল্পনা শোনা গেছে দেশের ক্রিকেটে, উঠে এসেছে নানা সংবাদ মাধ্যমে।
সেই দুজন যখন বিপিএলের এক দলে, বাড়তি আগ্রহের জায়গা তৈরি হয়ই। ড্রাফট শেষে তামিম যখন মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমের, এই প্রসঙ্গ উঠল অনুমিতভাবেই। তামিম উত্তর দিলেন একটা গল্প শুনিয়ে।
“এটাই যদি হতো (মনোমালিন্য), তাহলে… আমি ছোট্ট একটা গল্প বলি। তাতেই আপনারা উত্তর পেয়ে যাবেন। আমাকে তো ড্রাফট থেকে নেওয়া হয়েছে। রিয়াদ ভাইকে আইকন হিসেবে (ড্রাফটের আগেই) নেওয়া হয়েছে। আমাকে দলে নেওয়ার পরই রিয়াদ ভাই ফোন করে আমাকে বললেন, ‘তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়।”
“আমাদের সম্পর্ক যদি এতই খারাপ থাকত, তাহলে তো আমি এখানে আসতাম না। তাই না?”
তামিম দল পাওয়ার পর হোটেলে এসে ড্রাফটে ঢাকার টেবিলে বসেন এবং দল বাছাইয়ে সহায়তা করেন দলের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত থাকা মাহমুদউল্লাহ, হাবিবুল বাশার ও শাহরারিয়ার নাফীসকে।
একই প্রশ্ন পরে ছুটে যায় মাহমুদউল্লাহর দিকেও। তিনি ছোট্ট করে বললেন, সবসময়ই উষ্ন ছিল দুজনের সম্পর্ক।
“অনেক কিছুই আমার হাতে নেই। লোকে অনেকেই অনেক কিছু ভাবে। আমি সবসময় আমার তরফ থেকে বিশ্বাস করতাম যে বন্ডিং বা সম্পর্ক সবসময়ই ভালো ছিল।”