বিপিএলের ড্রাফটে সোমবার কোনো দল নেয়নি ২২ বছর বয়সী এই স্পিনারকে। ড্রাফটে আমিনুল ছিলেন ‘সি’ ক্যাটেগরিতে, যেখানে পারিশ্রমিক ২৫ লাখ টাকা।
গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র দুই বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন আমিনুল। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট, তৃতীয় ম্যাচে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ১টি।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রিজার্ভ তালিকায় ছিলেন আমিনুল। পরে তাকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ফেরত পাঠানো হয় দেশে, যা নিয়ে বিতর্কও হয় অনেক। দেশে লেগ স্পিনারদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ এবং লেগ স্পিনের সংস্কৃতি গড়ে না ওঠা নিয়ে আলোচনাও অনেক দনের। খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান কদিন আগে একটি সংবাদ সম্মেলনে খেদ জানান ঘরোয়া ক্রিকেটে লেগ স্পিনারদের না খেলানো নিয়ে। এর মধ্যেই বিপিএলে আমিনুলের দল না পাওয়ার ঘটনা।
ড্রাফট থেকে এবার একজন লেগ স্পিনারকেই নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা জুবায়ের হোসেনকে নিয়েছে সিলেট সানরাইজার্স। তিনি ছিলেন ‘এফ’ ক্যাটেগরিতে, পারিশ্রমিক যেখানে ৫ লাখ টাকা।
ড্রাফটের পর অবশ্য ঢাকা দলে নিয়েছে তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে। তিনি ছিলেন ‘ডি’ ক্যাটেগরিতে, পারিশ্রমিক ১৮ লাখ টাকা।
ড্রাফট থেকে দল না পাওয়াদের মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য নাম মোহাম্মদ আশরাফুল ও নাসির হোসেন। অভিজ্ঞ এই দুই ক্রিকেটারের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল।
এছাড়াও দল পাননি গত মাসে পাকিস্তান সিরিজে নাটকীয়ভাবে টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত সাইফ হাসান, বাংলাদেশ টেস্ট দলের নিয়মিত পেসার আবু জায়েদ চৌধুরি, তরুণ আগ্রাসী ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম, এই সংস্করণে ঘরোয়া ক্রিকেটের পরীক্ষিত অলরাউন্ডার আনিসুল ইসলাম ইমন, গত ঢাকা লিগ টি-টোয়েন্টিতে ঝড় তোলা ব্যাটসম্যান মুনিম শাহরিয়ার, উঠতি বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ ও ঘরোয়া ক্রিকেটের আরও বেশ কজন পারফর্মার।
তাদের সুযোগ অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি। সর্বোচ্চ ১৪ জন স্থানীয় ক্রিকেটার নিতে পারবে প্রতিটি দল। কোনো দলই এখনও সেটি কোটা পূরণ করেনি। দল না পাওয়া ক্রিকেটারদের তাই এখন নিতে পারবে যে কোনো দল।