এই বছরের শুরুতে মাঠে ও মাঠের বাইরে চাপে ছিলেন ল্যাঙ্গার। দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর বিভিন্ন সময়ে গুঞ্জন উঠেছিল খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার মনোমালিন্য নিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পাশেই পেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে পরপর দুটি সিরিজ হেরে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথমবারের মতো এই সংস্করণের বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নেয় পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ীরা।
ছন্দে থাকা অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ফিরে পেয়েছে টেস্ট ক্রিকেটেও। ঘরের মাঠে চলতি অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্ট জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে আছে ২-০ ব্যবধানে।
মেলবোর্নে ‘বক্সিং ডে’ টেস্টের প্রথম দিন রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় হকলি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি ল্যাঙ্গারের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের পুরো মনোযোগ কেবলই অ্যাশেজ সিরিজেই।
“আমি মনে করি জেএল (জাস্টিন ল্যাঙ্গার) ও পুরো দল দুর্দান্ত কাজ করছে। আমরা প্রথম দুই টেস্টের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তা দেখেছি।”
“আমরা সবসময় বলেছি যে, আমরা দুটি অভিযানে মনোনিবেশ করতে যাচ্ছি- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং টি-টোয়েন্টি দল দুর্দান্তভাবে খেলে সেই ট্রফিটি ঘরে এনেছে এবং অ্যাশেজও - আমি জেএলকে চিনি, দলকে জানি, তারা খুব, খুব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এই সিরিজে।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ হিসেবে ল্যাঙ্গারের চুক্তির মেয়াদ শেষে হবে আগামী জুনে। চুক্তি নবায়ন নিয়ে কিছু না জানালেও হকলি নিশ্চিত করেছেন, মেয়াদের শেষ পর্যন্ত দায়িত্বে বহাল থাকবেন সাবেক এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানই।
“আমি যেমনটা বলেছি, এটি এমন কিছু যা আমরা মৌসুমের শেষের দিকে দেখতে যাচ্ছি। কোনো সন্দেহ নেই জাস্টিন তার চুক্তির শেষ পর্যন্ত থাকবেন, যা আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হবে।”
“(২০২২ সালে) পাকিস্তানে একটি সফর রয়েছে এবং এছাড়াও অনেক দুর্দান্ত ক্রিকেট আসছে, তবে আমি যেমনটা বলেছি অ্যাশেজ শেষে আমরা বসে পর্যালোচনা করে দেখব যে আমরা কোথায় আছি।”