তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম দিন শেষে মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৯৩ রান। আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ২৪৭ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১২৮ রানে অপরাজিত আছেন সৌম্য। ৮৮ বলে ৬২ রানে খেলছেন শুভাগত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১১৬। সালমান আউট হয়েছেন ১৫২ বলে ৭০ রান করে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে কোনো দলই কোনো লেগ স্পিনার না খেলানোয় কদিন আগে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। লেগ স্পিনার খেলাতে ফের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।
প্রথম দুই রাউন্ডে দল না পাওয়া লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন এই রাউন্ডে খেলছেন দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে। ১৯ ওভারে ৭৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে দিনের সফলতম বোলার তিনিই। অন্য দুটি বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের, ৯১ রানে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে রোববার টস জিতে বোলিং নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল শুরু করে স্পিনার নাসুমকে দিয়ে। সপ্তম ওভারে হাত হাত ধরেই আসে প্রথম সাফল্য। সুইপ খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন মিজানুর রহমান।
আরেক ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুনও টিকতে পারেননি। নাসুমের পরের ওভারে তিনিও বোল্ড হন বলের লাইন মিস করে। ২৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন সৌম্য ও সালমান। এই দুজন ধৈর্য ধরে উইকেটে পড়ে থেকে দেখেশুনে খেলে এগিয়ে নেন দলকে।
লাঞ্চ বিরতির একটু আগে প্রথম বল হাতে পান রিশাদ। দারুণ লাইন-লেংথে বোলিং করে প্রথম ওভারে নেন মেডেন। প্রথম স্পেলে ৯ ওভারে ২৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।
সৌম্য ফিফটি পূর্ণ করেন ১০১ বলে। পঞ্চাশ ছুঁতে সালমানের লাগে ১১৩ বল। ২০৪ বলে স্পর্শ করে দুজনের জুটির শতরান।
রিশাদ দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে নিজের দ্বিতীয় ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন সালমানকে, ভাঙে ৩১৬ বল স্থায়ী ১৪৪ রানের জুটি। ৭ চারে গড়া সালমানের ৭০ রানের ইনিংস।
নিজের পরের ওভারে রিশাদ শিকার ধরেন আরেকটি, এলবিডব্লিউ করে দেন তাইবুর রহমানকে।
মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ১৭৭ রান। দিনের বাকি সময়টা পার করে দলকে তিনশর কাছে নিয়ে যান সৌম্য ও শুভাগত।
৯৯ থেকে রিশাদের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সৌম্য সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ২০৫ বলে। প্রথম রাউন্ডে এই মাঠেই দলের একমাত্র ইনিংসে তিনি করেছিলেন অপরাজিত ১০৪। পরের রাউন্ডে মিরপুরে দুই ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ২ ও ৭৩ রান। চট্টগ্রামে ফিরে আবার স্পর্শ করলেন তিন অঙ্ক।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সৌম্যর প্রথম ৭৩ ম্যাচে সেঞ্চুরি ছিল কেবল দুটি। এবার তিন ম্যাচের মধ্যেই করলেন দুই সেঞ্চুরি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৯৩/৪ (মিজানুর ৭, মিঠুন ১২, সৌম্য ১২৮*, সালমান ৭০, তাইবুর ২, শুভাগত ৬২*; নাসুম ৩২-৭-৯১-২, সুমন ১২-২-৫১-০, ফরহাদ ৫-১-১৬-০, নাহিদুল ২২-৩-৪৬-০, রিশাদ ১৯-২-৭৭-২)