ওয়েলিংটনের প্রেরণায় আরও ভালো কিছুর আশায় বাংলাদেশ

সুখস্মৃতি খুব বেশি নেই। তার পরও হাতড়ে বেড়ানো, যদি প্রেরণার রসদ কিছু মেলে! বাংলাদেশ দলের বলা যায় এখন সেই অবস্থা। নিউ জিল্যান্ডে টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। তবু ৫ বছর আগে ওয়েলিংটন টেস্টের যে লড়াই এবং শেষ দিনের শেষ সেশন পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিতে পারা, সেই স্মৃতি থেকেই এবার অনুপ্রেরণা খুঁজছে দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2021, 08:17 AM
Updated : 25 Dec 2021, 08:50 AM

নিউ জিল্যান্ডে কখনোই দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে অবস্থা সবচেয়ে বেশি করুণ টেস্টে। এখনও পর্যন্ত ৯ টেস্ট খেলে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে সবকটিতেই। ইনিংস ব্যবধানের হারই আছে ৫টি। এছাড়া ৯ উইকেটের হার আছে দুই দফায়, ৭ উইকেটের হার একবার, আরেকবার হার ১২১ রানে।

তবে এই হারের মালায় খানিকটা সুবাস ছড়ানো ফুল ২০১৭ সালে ওয়েলিংটন টেস্ট। সেবার প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। উপমহাদেশের বাইরে যা এখনও সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। ৩৫৯ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম, এখনও যা জুটির রেকর্ড।

প্রথম ইনিংসে লিডও ধরা দেয়। তবে বিপত্তি বাধে দ্বিতীয় ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক দ্বিতীয় ইনিংসে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ওপেনার ইমরুল কায়েসও চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে পরে ফেরেন শেষ দিকে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৬০ রানে।

ম্যাচের বেশির ভাগ জুড়ে ড্রয়ের আশা জাগিয়েও তাই শেষ দিনে বাংলাদেশ হেরে যায় ৭ উইকেটে।

সেই লড়াই থেকে এত বছর পরও আশার প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন এবারের সফরের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। ভিডিও বার্তায় শনিবার তিনি বললেন, ওয়েলিংটনকেও এবার ছাড়িয়ে যেতে চান তারা।

“এর আগে নিউ জিল্যান্ডে আমরা ১০টি (৯টি) টেস্ট খেলেছি, রেকর্ড যেখানে খুব ভালো নয়। ব্যতিক্রম বলা যায় ২০১৬ সালের (২০১৭ সাল) ওয়েলিংটন টেস্ট। ওই টেস্টে শেষ দিনে চা-বিরতির পর হেরে যাই আমরা। তবে ওই টেস্ট থেকেই আমরা প্রেরণা নিচ্ছি যে, সেবার যদি আমরা ৫৯৫ করতে পারি ৮ উইকেটে, ইনিংস ঘোষণা করেছিলাম, এবার আমরা চাই আরও ভালো কিছু করতে।”

নিউ জিল্যান্ডে যাওয়ার পর দলের প্রথম ঠিকানা ক্রাইস্টচার্চ ছেড়ে শুক্রবার তাওরাঙ্গায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। তাওরাঙ্গার জমজ শহর মাউন্ট মঙ্গানুইতে হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট।

সেখানে পৌঁছার পর শনিবার দিনটি অবশ্য ছুটি কাটাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বড়দিনে ছুটির আমেজে গোটা নিউ জিল্যান্ডই। খালেদ মাহমুদ জানিয়ে দিলেন সামনের কদিনে দলের কার্যক্রম কেমন হবে।

“আজকে আমাদের ডে অফ। কারণ আজকে ক্রিসমাস এখানে, সবার ছুটি। কেউ কাজ করছে না। আমাদের ছেলেদেরও তাই ছুটি। ক্রাইস্টচার্চে আমরা খুব ভালো ট্রেনিং করে এসেছি। গতকাল জিম সেশন ছিল। আগামী দুই দিন, মানে ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর আমরা ট্রেনিং করব। আশা করি কঠোর ও ভালো ট্রেনিং হবে।”

“২৮ ও ২৯ তারিখ আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। ৩০ তারিখ আবার বিরতি। ৩১ তারিখে অনুশীলনের পর আমরা প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলব ১ তারিখ থেকে। এখনও পর্যন্ত সব ভালো। ছেলেরা ফিট আছে, ভালো আছে। অনুশীলনও ভালো হচ্ছে। আশা করছি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব।”