অ্যাশেজে মাঠে চলে তীব্র লড়াই। এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে দুই দলের সমর্থকদের মাঝেও। শরীরী ভাষায় থাকে আগ্রাসন, কথার তোপে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসও দেখা যায়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় এবারের অ্যাশেজে নেই ওইরকম কোনো উত্তেজনা। এতে বেশ বিরক্ত ম্যাকগ্রা।
প্রথম দুই টেস্টে তেমন কোনো ধরনের লড়াইই করতে পারেনি ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে থাকা জো রুটের দল অ্যাশেজ ট্রফি পুনরুদ্ধারের আশা শেষ হওয়ার পথে। ম্যাকগ্রার মনে হচ্ছে, তবুও যেন হারের হতাশা স্পর্শ করছে না তাদের। প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় মজে আছেন সবাই।
সিডনি হেরাল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাকগ্রা বলেন, শরীরী ভাষায়ই প্রকাশ করতে হবে জয়ের জন্য ব্যগ্রতা।
“মাঝে মধ্যে (সম্পর্ক) একটু বেশি ভালো হতেই পারে। এখানে সব কিছু সেভাবেই হচ্ছে, তাই না? আক্রমণাত্মক ও আগ্রাসী খেলতে কিছুটা চিন্তিত সবাই। আমার মনে আছে, যখন নাসের হুসেইন ইংল্যান্ডকে নিয়ে এখানে এসেছিল, তাদের আমাদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতিই ছিল না।”
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে এমন ভালো সম্পর্ক হওয়ার কারণ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে একই দলে খেলা। দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সময় দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে আরও আগ্রাসন দেখতে চান টেস্ট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ম্যাকগ্রা।
“আইপিএল ও বিগ ব্যাশে খেলার কারণে এই ক্রিকেটাররা একে অপরকে ভালোভাবেই চিনে। দেখা যায় ব্যাটসম্যান ও বোলাররা মজা করছে। আমি মাঠে আবেগ দেখতে চাই।”
“আমি মাঠে আরও লড়াই দেখতে চাই। ইংল্যান্ডের ওপর চাপ ধরে রাখা থেকে সরবে না অস্ট্রেলিয়া, এখন তাদের দলে ফিরছে প্যাট কামিন্সও। জেমস অ্যান্ডারসনের পেস কমে গেছে এবং বলও তেমন সুইং করছে না। এটা খুবই বাজে পরিস্থিতি হতে চলছে (ইংল্যান্ড জন্য)।”
আগামী রোববার মেলবোর্নে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের বক্সিং-ডে টেস্ট।