২০১৮-১৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যাডিলেইডে প্রথম টেস্টে চোট পেয়ে ছিটকে যান অফ স্পিনার অশ্বিন। সিডনিতে চতুর্থ টেস্টে ভারতের স্পিনার ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদিপ। প্রথম ইনিংসে দারুণ বোলিংয়ে কুলদিপ ৯৯ রানে নেন ৫ উইকেট। যা ম্যাচ ড্র করে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের টেস্ট সিরিজ জয়ে রাখে বড় ভূমিকা।
ম্যাচের পর শাস্ত্রী বলেছিলেন, বিদেশের মাটিতে ভারতের এক নম্বর স্পিনার হতে পারেন কুলদিপ। সম্প্রতি ইএসপিএনক্রিকইনফোর ‘ক্রিকেট মান্থলি’তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্বিন বলেন, শাস্ত্রীর মন্তব্যের পর নিজেকে ‘একেবারে বিধ্বস্ত’ মনে হয়েছিল তার।
ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বৃহস্পতিবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী তুলে ধরলেন সেই সময়ের প্রেক্ষাপট, দিলেন নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা।
“একজন কোচ হিসেবে আমি বলব, সবার পাউরুটিতে মাখন লাগানো আমার কাজ নয়। কোনো এজেন্ডা ছাড়াই আমার কাজ হলো প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা। অশ্বিন সিডনি টেস্ট খেলেনি, কুলদিপ খেলেছিল এবং চমৎকার বোলিং করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিল। একজন তরুণ ক্রিকেটার, যে সম্ভবত বিদেশের মাটিতে প্রথম বা দ্বিতীয় টেস্ট খেলছিল, তাকে নিয়ে এমন কিছু বলা যথার্থ।”
“সেই টেস্টে সে দুর্দান্ত বোলিং করেছিল। বিদেশের যে কোনো স্পিনারের মতোই বোলিং করেছিল। তাই, আমি বলেছিলাম, এখানে সে যেভাবে বোলিং করেছে, বিদেশে সে ভারতের এক নম্বর স্পিনার হতে পারে।”
তার মন্তব্য অশ্বিনকে আঘাত দিয়ে থাকলে বরং খুশিই ভারতের সদ্য বিদায়ী কোচ শাস্ত্রী এবং সেটির কারণও তুলে ধরলেন তিনি।
“এখন আমার কথা যদি অন্য কোনো খেলোয়াড়কে আঘাত করে, তাহলে বলব এটা ভালো...আমি এমন একজন কোচ যে চায়, একজন খেলোয়াড় ড্রেসিংরুমে গিয়ে বলুক, ‘আমি কোচকে দেখিয়ে দেব এবং তাকে দারুণ একটা শিক্ষা দেব, দেখাব যে আমি কী’।”
“তাই আমার বক্তব্য যদি তাকে (অশ্বিন) আঘাত করে থাকে তাহলে আমি খুব খুশি। এটা যদি পরে তাকে একেবারে ভিন্ন কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করে থাকে, যা সে করেছিল তাহলে আমি খুশি। কারণ, ২০১৯ সালে সে যেভাবে বোলিং করেছিল এবং ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় যেভাবে বোলিং করেছে তা ছিল একেবারে আলাদা।”