হাম্বানটোটায় বৃহস্পতিবার রাতের ফাইনালে জাফনার জয় ২৩ রানে। প্রথম দুই আসরের ফাইনালেই গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।
গত আসরেও জাফনার শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন থিসারা। তখন অবশ্য দলটির নাম ছিল জাফনা স্ট্যালিয়ন্স। এবার বদল আসে মালিকানায়, পাল্টে যায় নাম।
আভিশকা ফার্নান্দো ও টম কোলার-ক্যাডমোরের ফিফটির সঙ্গে শোয়েব মালিক ও থিসারার দুটি ক্যামিও ইনিংস বড় পুঁজি এনে দেয় জাফনাকে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার আভিশকা এবার ৪১ বলে করেন ৬৩ রান। তিন নম্বরে ৪১ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন কোলার-ক্যাডমোর।
গলের দুই ওপেনার ছাড়া আর কেউ বলার মতো কিছু করতে পারেননি। দানুশকা গুনাথিলাকা ২১ বলে ৫৪ ও কুসল মেন্ডিস ২৮ বলে করেন ৩৯ রান।
মাহিন্দা রাজাপাকসা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আভিশকা ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় জাফনা। প্রথম পাঁচ ওভারে দুজনে তোলেন ৫৬ রান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আক্রমণে এসে শুরুর জুটি ভাঙেন ইংলিশ স্পিনার সামিত প্যাটেল। ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দেন আফগান ব্যাটসম্যান গুরবাজ (১৮ বলে ৩৫)।
কোলার-ক্যাডমোরের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নেন আভিশকা। ৩১ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি। নুয়ান থুশারার স্লোয়ারে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ৮ চার ও ২ ছক্কায় গড়া ইনিংস।
কোলার-ক্যাডমোর ফিফটি করেন ৩৮ বলে। সঙ্গে মালিকের ১১ বলে ২৩ ও থিসারার ৯ বলে অপরাজিত ১৭ রানের ইনিংসে দুইশ ছাড়ায় জাফনার সংগ্রহ। শেষ ওভারে আসে ১৯ রান।
রান তাড়ায় শুরু থেকে ঝড় তোলেন গুনাথিলাকা। প্রথম ওভারে ছক্কা মারেন মাহিশ থিকশানাকে। এই রহস্য স্পিনারের পরের ওভারে চার বলের মধ্যে দুটি ছক্কার সঙ্গে চার মারেন একটি। পরের ওভারে সুরঙ্গা লাকমালকে তিনটি বাউন্ডারি।
ফিফটি স্পর্শ করেন গুনাথিলাকা মাত্র ১৯ বলে। পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসে পরপর দুই বলে গুনাথিলাকা ও বেন ডাঙ্ককে ফিরিয়ে দেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। ক্যাচ দেন দুজনই। তারপরও পাওয়ার প্লেতে গলের রান ছিল ২ উইকেটে ৮১।
মোহাম্মদ হাফিজ ও ভানুকা রাজাপাকসা তেমন কিছু করতে পারেননি। আশা হয়ে টিকে ছিলেন মেন্ডিস। কিন্তু ৩৯ রান করে তিনি রান আউটে বিদায় নিলে আর পেরে ওঠেনি গল।
হাসারাঙ্গা ও চতুরঙ্গা ডি সিলভা নেন ২টি করে উইকেট। পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মালিক উইকেট না পেলেও তিন ওভারে দেন স্রেফ ১২ রান। ম্যাচ সেরার সঙ্গে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন আভিশকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জাফনা কিংস: ২০ ওভারে ২০১/৩ (আভিশকা ৬৩, গুরবাজ ৩৫, কোলার-ক্যাডমোর ৫৭*, মালিক ২৩, থিসারা ১৭*; আমির ৪-০-৩৯-১, থুশারা ৪-০-৩৩-১, লাকশান ২-০-২৯-০, উদানা ৩-০-৩৮-০, সামিত ৪-০-৩২-১, পুলিনা ৩-০-২৭-০)
গল গ্ল্যাডিয়েটর্স: ২০ ওভারে ১৭৮/৯ (মেন্ডিস ৩৯, গুনাথিলাকা ৫৪, ডাঙ্ক ০, হাফিজ ১০, রাজাপাকসা ১৪, সামিত ২২, লাকশান ২, পুলিনা ৪, উদানা ৯, আমির ৬*, থুশারা ৫*; থিকশানা ৪-০-৫১-১, সিলস ৩-০-৩৬-১, লাকমল ৩-০-২৩-১, হাসারাঙ্গা ৪-০-৩০-২, মালিক ৩-০-১২-০, চতুরঙ্গা ৩-০-১৫-২)
ফল: ২৩ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন জাফনা কিংস
ম্যান অব দা ম্যাচ: আভিশকা ফার্নান্দো
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: আভিশকা ফার্নান্দো।