অবশ্য ভিডিও থেকেই স্রেফ নয়। বাউন্স ও মুভমেন্টই যে নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের জন্য বড় পরীক্ষা, এটা তো জানা কথাই! লিঙ্কনের ইউনিভার্সিটি মাঠের এই অনুশীলন উইকেট যেমন, তেমনি দুই টেস্টের ভেন্যু মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভাল ও ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালেও উইকেটের আচরণ একই থাকার কথা।
এই চ্যালেঞ্জ সামলানোর জন্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তৈরি করার দায়িত্ব যার, সেই অ্যাশওয়েল প্রিন্স অবশ্য দুর্ভাবনার কিছু দেখছেন না। ১১ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি ভালোভাবে এগিয়ে চলছে বলে জানালেন দলের ব্যাটিং কোচ। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতি দারুণ হচ্ছে বলেই মনে করেন তিনি।
“আমাকে বলতেই হবে, আমাদের ব্যাটসম্যানদেরকে খুব ভালো মনে হচ্ছে। আমার মনে হয়, আমাদের ব্যাটসম্যানরা নিউ জিল্যান্ডে ব্যাটিং উপভোগ করবে। এই ইউনিভার্সিটি মাঠে অনুশীলন পিচগুলো খুব ভালো। বাউন্স খুবই সমান। আমাদের ছেলেরা এই স্বস্তি পাচ্ছে যে, নিউ জিল্যান্ডের বাউন্সে ভরসা রাখা যায়। হ্যাঁ, কিছুটা সিম মুভমেন্ট থাকবে। তবে সেটা প্রত্যাশিতই।”
নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে কখনও কোনো ম্যাচ জিততে না পারলেও ব্যাটসম্যানদের কিছু সুখস্মৃতি অবশ্য আছে। দেশের বাইরে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার পরই ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি গড় নিউ জিল্যান্ডে। টেস্টে দেশের সেরা জুটি, দেশের বাইরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস, উপমহাদেশের বাইরে দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস, সবই সেখানে।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু আগামী ১ জানুয়ারি। সামনের এই কদিনে নিজেদের আরও শানিত করে মূল লড়াইয়ের জন্য দল আরও প্রস্তুত হয়ে উঠবে বলেই ধারণা প্রিন্সের।
“এখনও পর্যন্ত সবকিছু ভালো। ছেলেদের ট্রেনিংয়ে ভালো মনে হচ্ছে। কেবলই শুরু হলো, প্রথম টেস্টের আগে আরও ৭-৮ দিন আছে। আস্তে আস্তে আমরা উন্নতি করতে চাইব এবং প্রথম টেস্ট যখন শুরু হবে, সময়মতো আমরা আশা করি চূড়ায় থাকব।”