দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য বুধবার নিউ জিল্যান্ডের দেওয়া ১৩ সদস্যের দলে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার।
চোটের জন্য আগেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ এই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তার অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন টম ল্যাথাম।
অনুমিতভাবে চোট কাটিয়ে ফিরেছেন ডেভন কনওয়ে। গত নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে আউট হয়ে মেজাজ হারিয়ে ব্যাটে আঘাত করে হাত ভেঙে বসেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দলেও আছেন এই ব্যাটসম্যান।
দেশের মাটিতে কোনো টেস্ট সিরিজের জন্য নিউ জিল্যান্ড দলে এক ঝাঁক পেসার থাকা খুব স্বাভাবিক। তবে স্রেফ আগের টেস্টেই ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়া একজন স্পিনারকে বাদ দেওয়া চমক জাগানিয়া অবশ্যই। দেশের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ার পরও নতুন বছরের প্রথম দুই টেস্টে বাইরে বসে থাকতে হবে এজাজকে।
বিশেষজ্ঞ কোনো স্পিনারের সঙ্গে উইলিয়ামসনও অনুপস্থিত, তবে এরপরও একবারে স্পিন শূন্য নয় স্বাগতিক দল। প্রয়োজন পড়লে হাত ঘোরাতে পারবেন রাচিন রবীন্দ্র।
এজাজের বাদ পড়াটা অনেক বড় ধাক্কা, মানছেন গ্যারি স্টেড। তবে নিউ জিল্যান্ড কোচ মনে করছেন, কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ অনুযায়ী সঠিক দলই বেছে নিয়েছেন তারা।
“আমরা সব সময় যেখানে যাকে প্রয়োজন এমন নির্বাচন নীতি প্রয়োগ করি। বাংলাদেশের বিপক্ষে দেশের মাটিতে আমরা যেভাবে খেলতে চাই, আমরা বিশ্বাস করি এর জন্য সবচেয়ে মানানসই খেলোয়াড়দের নির্বাচন করা হয়েছে।”
দেশের মাটিতে কিউইদের সাম্প্রতিক সময়ের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান পেস চতুষ্টয় টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, নিল ওয়্যাগনার ও কাইল জেমিসনের। চোট কাটিয়ে বোল্ট ফেরায় এই চার জনকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে পাচ্ছে নিউ জিল্যান্ড। সঙ্গে রাখা হয়েছে ম্যাট হেনরিকেও।
এজাজ দেশের মাটিতে তিন টেস্টে ৪৯ ওভার বোলিং করেও নিতে পারেননি কোনো উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে সুযোগ না পাওয়ার ক্ষেত্রে তার এই পারফরম্যান্সের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।
সিরিজের প্রথম টেস্ট নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে মাউন্ট মঙ্গানুইতে। দ্বিতীয় টেস্ট ৯ জানুয়ারি থেকে ক্রাইস্টচার্চে।
নিউ জিল্যান্ড টেস্ট স্কোয়াড: টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), ডেভন কনওয়ে, উইল ইয়াং, রস টেইলর, হেনরি নিকোলস, ড্যারিল মিচেল, টম ব্লান্ডেল (উইকেটকিপার), রাচিন রবীন্দ্র, কাইল জেমিসন, টিম সাউদি, নিল ওয়্যাগনার, ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট।