পারিবারিক সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করতে চাওয়ার কথা জানালেও আকরাম এখনও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান। ক্রীড়া উন্নয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান মাহমুদ সাবেক সতীর্থর কমিটির সহ-সভাপতি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির পর ‘টিম ডিরেক্টর’ পদ সৃষ্টি করে বিসিবি। দায়িত্ব পেয়ে পাকিস্তান সিরিজের জন্য আগেভাগেই কাজ শুরু করে দেন মাহমুদ। এতে জাগে সংশয়, টিম ডিরেক্টর নাকি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান, মূল দায়িত্ব এখন কার কাঁধে। বুধবার বিসিবি প্রধান জানালেন, দুই জনের কাজ আলাদা। এখানে সাংঘর্ষিক কিছু নেই। ব্যাখ্যা করলেন এই পদ সৃষ্টির প্রেক্ষাপট।
“আকরাম ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান। কিন্তু সহ সভাপতি খালেদ মাহমুদ। এটা অনেকেই হয়তো জানেন না। সাধারণত দলের সঙ্গে আমি থাকতাম, না হয় সুজন থাকত। আমি না থাকলে সুজন থাকতই। কিন্তু সুজন যখন বয়স ভিত্তিক দল নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ল, ক্রীড়া উন্নয়ন বিভাগে ওকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হলো, তখন সেও যেতে পারছিল না। যখন আমি যেতে পারছিলাম না তখন আমরা আরেকজন পরিচালককে পাঠাতাম।”
“তখন ওই জায়গায় একটা দূরত্ব তৈরি হতো। সেটা দূর করার জন্যই আমরা মনে করছি, এখন আপাতত মাহমুদ যেহেতু (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের) সহ সভাপতি, এই দায়িত্বটা তাই মাহমুদকে দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের অন্যান্য কাজ গুলো এখান থেকেই হচ্ছে। ওই দূরত্বটা মেটানোর জন্য মাহমুদকে টিম ডিরেক্টর করা।”
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সব সময়ই নিবিঢ়ভাবে সম্পৃক্ত থাকতে চান বিসিবি প্রধান। জানতে চান প্রতিটি বিষয়। মহামারীকালে দলের সঙ্গে সেভাবে থাকতে পারছেন না তিনি। নাজমুল হাসান জানালেন, তাই তার প্রতিনিধি হয়ে দলের সঙ্গে থাকবেন টিম ডিরেক্টর।
“আকরামের ও মাহমুদের পদ কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক না। এটা বলতে পারেন, আমি যে যাচ্ছি না, আমার জায়গায় একজন যাচ্ছে। মানে, একজন থাকা। আমি যখন থাকি তখন সবাই ওখানে থাকে কিন্তু তখন কারও না থাকলেও চলে। কারণ, আমি নিজে খোঁজ নিয়ে জানি কি হচ্ছে, না হচ্ছে। এখন আমি জানতে পারি না, কারণ ওখানে কেউ নাই। সেই জন্য যেটা করেছি, আমরা টিম ডিরেক্টর হিসেবে একজনকে ওখানে দিচ্ছি।”
“তার ভূমিকা কি হবে? ম্যানেজার তো ওখানে আরেক জন। একজনকে যদি দিতে হয়, কি বলে তাকে দিব? এই জন্য বলা হচ্ছে টিম ডিরেক্টর। তার অথরিটি অনেক বেশি।”