বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) বুধবার চতুর্থ ও শেষ দিনে বিসিবি উত্তরাঞ্চল ও বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের ম্যাচে ঘটেনি অতিনাটকীয় কিছু।
প্রথম ইনিংসে উত্তরাঞ্চলের ৩৪৫ রানের জবাবে ৪৯৯ রান করে দক্ষিণাঞ্চল। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে উত্তরাঞ্চল ১ উইকেটে ৬২ রান করলে ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে নিষ্প্রাণ এই ম্যাচে অবশ্য রয়েছে ব্যক্তিগত প্রাপ্তি। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেটের সেঞ্চুরি করেন নাসুম আহমেদ। সেঞ্চুরি আসে নাঈম ইসলাম ও অমিত হাসানের ব্যাট থেকে।
তবে ম্যাচের সব আলো কেড়ে নেন হৃদয়। প্রথম শ্রেণিতে প্রথম সেঞ্চুরিকেই যে তিনি রূপ দিলেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। ৩৮৭ বল স্থায়ী ইনিংসে ৪ ছক্কা ও ১৬ চারে ২১৭ রান করেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ। তাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পান তিনিই।
৩ উইকেট ৩৫০ রান নিয়ে খেলতে নামে দক্ষিণাঞ্চল। দিনের ষষ্ঠ ওভার তারা হারিয়ে ফেলে জাকির হাসানকে। শরিফুল্লাহর বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর নাহিদুল ইসলাম এসে সঙ্গ দেন হৃদয়কে।
তাদের ব্যাটে চারশ পেরিয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চলের রান। নাহিদুলের সঙ্গে ৭১ রানের জুটিতে ৩৭৪ বলে ডাবল সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ১৫৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা হৃদয়।
দ্বিশতকের পর বেশিক্ষণ টিকেননি তিনি। সানজামুল ইসলামের বলে স্কয়ার লেগে ধরা পড়ে ভাঙে তার প্রতিরোধ। ফিরতি ক্যাচে এই স্পিনার হৃদয়ের আগে বিদায় করে ৪১ রান করা নাহিদুলকেও।
ফরহাদ রেজাকে এলবিডব্লিউ করার পর নাসুমকে স্টাম্পড করে দেন সানজামুল। সুমন খানকে ফিরিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ইনিংস গুটিয়ে দেন শরিফুল্লাহ। এই দুই স্পিনার নেন ৪টি করে উইকেট।
১১৪ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামা উত্তরাঞ্চল তানজিদ হাসানকে হারায় নাসুমের বলে। এরপর বাকি সময় কাটিয়ে দেন পারভেজ হোসেন ও জুনায়েদ সিদ্দিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৩৮৫
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩৫০/৩) ১৭৫.৫ ওভারে ৪৯৯ (হৃদয় ২১৭, জাকির ২২, নাহিদুল ৪১, ফরহাদ ১৫, মেহেদি ৬, নাসুম ২, সুমন ১৪, মেহেদি রানা ০*; সানজামুল ৬৪-১৪-১৬৭-৪, শফিকুল ১৭-৩-৫১-১, আরিফুল ৬-০-১৭-০, শরীফুল্লাহ ৬০.৫-১৫-১৫৬-৪, নোমান ২৩-২-৯১-১, নাঈম ৫-২-১১-০)।
উত্তরাঞ্চল ২য় ইনিংস: ২৬ ওভারে ৬২/১ (তানজিদ ৩৪, পারভেজ ১৭*, জুনায়েদ ৮*; নাহিদুল ৮-১-১৮-০, মেহেদি রানা ৪-০-১৩-০, নাসুম ১০-৫-১০-১, সুমন ৩-০-১৮-০, হৃদয় ১-০-১-০)
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: তৌহিদ হৃদয়