পেসারদের ছোবলের পর মুরাদের স্পিনে জয়ের পথে মধ‍্যাঞ্চল

প্রথম ইনিংস লিড নিলেও সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি ইসলামী ব‍্যাংক পূর্বাঞ্চলের ব‍্যাটসম‍্যানরা। পেসারদের চমৎকার বোলিংয়ের পর হাসান মুরাদের স্পিনে লক্ষ‍্যটা দুইশ রানের নিচেই রেখেছে ওয়ালটন মধ‍্যাঞ্চল। শেষ সেশনের দায়িত্বশীল ব‍্যাটিংয়ে মোহাম্মদ মিঠুন ও সৌম‍্য সরকার ব‍্যবধান কমিয়ে এনেছেন অনেকটাই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2021, 11:53 AM
Updated : 21 Dec 2021, 11:53 AM

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) টানা দ্বিতীয় জয়ের জন‍্য শেষ দিনে ১১২ রান চাই মধ‍্যাঞ্চলের। প্রথম জয়ের জন‍্য পূর্বাঞ্চলের নিতে হবে আরও ৯ উইকেট।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে মধ‍্যাঞ্চলের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮৭ রান।

৪২ রানে ব‍্যাট করছেন মিঠুন। সৌম‍্য খেলছেন ৩৩ রানে।

১৯৯ রানের লক্ষ‍্য তাড়ায় শুরু থেকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও মিঠুন। ওয়ানডে ঘরানার ব‍্যাটিংয়ে ওভার প্রতি ছয়ের বেশি রান তুলছিলেন তারা। তবে বড় হয়নি তাদের জুটি। মোহাম্মদ এনামুল হকের বলে মিজানুর এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে ২৫ রানের জুটি।

ওয়ানডের গতিতে রান তুলে এগিয়ে যান মিঠুন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন সৌম‍্য। অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে দুই জনের জুটির রান ৬২।

উইকেটে সবুজ ঘাসের ছোঁয়া আছে। সকালের উইকেটে যথেষ্ট আদ্রতা থাকে। সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হওয়া ম‍্যাচে প্রথম সেশন ব‍্যাটসম‍্যানদের জন‍্য বেশ চ‍্যালেঞ্জিং। সেই জন‍্যই হয়ত তৃতীয় দিন শেষ বেলায় যত বেশি সম্ভব রান করে রাখার চেষ্টা ছিল মধ‍্যাঞ্চলের ব‍্যাটসম‍্যানদের।  

এর আগে ৯ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা মধ‍্যাঞ্চলের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ২২৭ রানে। রবিউল ইসলামকে এলবিডব্লিউ করে নিজের তৃতীয় উইকেট নেন তানভির ইসলাম।

১৮ রানের লিড পাওয়া পূর্বাঞ্চলের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। ৫১ রানে ফিরে যান তাদের প্রথম ছয় ব‍্যাটসম‍্যান। এদের চার জনই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।

সবুজ ঘাসের উইকেটে ব‍্যাটসম‍্যানদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন মধ‍্যাঞ্চলের চার পেসার। ইমরুল কায়েসকে এলবিডব্লিউ করে শিকার শুরু করেন আবু হায়দার। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া এই পেসার পরে শূন‍্য রানে বিদায় করেন শাহাদাত হোসেনকে।

চমৎকার এক ডেলিভারিতে ইরফান শুক্কুরকে বোল্ড করে দেন রবিউল। তার ইনসুইঙ্গার বাঁহাতি ব‍্যাটসম‍্যানের ব‍্যাটের কানা এড়িয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।

মৃত‍্যুঞ্জয় চৌধুরির শর্ট বল লেগে ঘুরানোর চেষ্টায় সহজ ক‍্যাচ দেন আফিফ হোসেন। অনেকটা সময় ক্রিজে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুলকে বোল্ড করে দেন মধ‍্যাঞ্চলের পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

নাদিফ চৌধুরিকে কট বিহাইন্ড করে উইকেট শিকারে যোগ দেন সৌম‍্য।  এরপর নাঈম হাসান ও প্রিতম কুমারের ব‍্যাটে প্রতিরোধ গড়ে পূর্বাঞ্চল। শতরানের জুটি উপহার দেওয়া দুই ব‍্যাটসম‍্যানই করেন ফিফটি।

ওয়ানডে গতির ব‍্যাটিংয়ে এক ছক্কা ও ছয় চারে ৫৬ বলে ৫৪ রান করা কিপার-ব‍্যাটসম‍্যান প্রিতমকে ফিরিয়ে ১০৩ রানের জুটি ভাঙেন মুরাদ। তরুণ এই বাঁহাতি স্পিনার পরে শূন‍্য রানে বিদায় করেন তানভিরকে।

দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় মুরাদের বলে স্টাম্পড হন নাঈম। ৮৮ বলে আট চার ও এক ছক্কায় তিনি করেন ৬৮ রান। কিছুক্ষণ পর আসাদুজ্জামান পায়েলকে এলবিডব্লিউ করে ১৮০ রানে পূর্বাঞ্চলকে থামিয়ে দেন মুরাদ। ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই মধ‍্যাঞ্চলের সফলতম বোলার। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৪৫

মধ‍্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২২৭

পূর্বাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৪৬.৫ ওভারে ১৮০ (ইমরুল ৫, আশরাফুল ১৬, শাহাদাত ০, শুক্কুর ৬, আফিফ ৫, নাদিফ ১০, প্রিতম ৫৪, নাঈম ৬৮, তানভির ০, এনামুল ৯*, পায়েল ০; রবিউল ১২-১-৩৬-১,  আবু হায়দার ৮-১-২৬-২, মৃত‍্যুঞ্জয় ৮-১-৩৯-২,  সৌম‍্য ৮-৩-২৫-১, মুরাদ ৬.৫-০-৩৭-৪, শুভাগত ৪-০-১২-০)

মধ‍্যাঞ্চল ২য় ইনিংস: (লক্ষ‍্য ১৯৯) ২৩ ওভারে ৮৭/১ (মিজানুর ১২, মিঠুন ৪২*, সৌম‍্য সরকার ৩৩* ; পায়েল ৩-০-১৫-০, তানভির ৮-৩-৯-০, এনামুল ৫-০-৩৮-১, নাঈম ৬-৩-১৯-০, আশরাফুল ১-০-৬-০)