অ্যাডিলেইডে গোলাপি বলের টেস্টে সোমবার ২৭৫ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ব্রিজবেনে প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের জয় ছিল ৯ উইকেটে। কোনো ম্যাচেই সফরকারীদের সেভাবে দাঁড়াতে দেয়নি তারা।
অস্ট্রেলিয়ায় সবশেষ ১২ টেস্টের ১১টিতেই হারের তেতো স্বাদ পেল ইংল্যান্ড। ২০১০-১১ মৌসুমের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ সিরিজ জিততে পারেনি ইংলিশরা। সবশেষ দুই সফরে ২০১৩-১৪ মৌসুমে ৫-০ ও ২০১৭-১৮ মৌসুমে ৪-০ ব্যবধানে হেরেছিল তারা।
অ্যাডিলেইডে জয়ের পর অ্যাশেজে প্রতিপক্ষকে আরেকবার হোয়াইটওয়াশ করার সম্ভাবনায় তার সতীর্থরা অনুপ্রাণিত কি-না, এমন প্রশ্নে স্মিথ জানান তাদের ভাবনা।
“আমরা চাই (৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়)। তবে এই মুহূর্তে আমরা একটি করে ম্যাচ নিয়ে ভাবছি, যা আমরা করতে পারি।”
“২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া দারুণ ব্যাপার। আশা করি, আমরা এই মোমেন্টাম বক্সিং ডে টেস্টে ধরে রাখতে পারব।”
“ইংল্যান্ড ভালো দল, কিন্তু আমরা এখনও তাদের লড়াইয়ে ফিরতে দেইনি। দুই ম্যাচেই আমরা এগিয়ে ছিলাম এবং তাদের ঘুরে দাঁড়াতে দেইনি। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যা চাই, তা হলো সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং ইংল্যান্ডকে মোমেন্টাম নিতে না দেওয়া।”
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজনের সংস্পর্শে আসায় অ্যাডিলেইড টেস্ট খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তার অনুপস্থিতিতে দিবা-রাত্রির টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেন স্মিথ, ২০১৮ সালের বল টেম্পারিং কাণ্ডের পর প্রথমবার।
ম্যাচের শেষ দিনে জস বাটলারের চোয়ালবদ্ধ লড়াইয়ে ম্যাচ বাঁচানোর ক্ষীণ আশা জাগিয়েছিল ইংল্যান্ড। খেলা গড়িয়েছিল শেষ সেশনে। এরপরই অদ্ভুতভাবে হিট উইকেট আউট হয়ে শেষ হয় বাটলারের ২০৭ বলে ২৬ রানের লড়িয়ে ইনিংস। ইংলিশের আশাও শেষ হয়ে যায় সেখানেই।
স্মিথ বললেন, বাটলার উইকেটে থাকার সময়েও জয় নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না তার। একই সঙ্গে প্রশংসা করলেন ইংলিশ কিপার-ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ের।
“তখনও আমি স্নায়ুচাপে ছিলাম না। আমরা তাদের ৮ উইকেট নিয়েছিলাম, স্টুয়ার্ট ব্রড অন্য প্রান্তে ছিল।”
“জস যেভাবে স্টাম্পে পা রেখেছিল তা ছিল অদ্ভুত…সে ভালো খেলেছে, অতীতে আমরা যে জসকে দেখেছি, সেরকম নয়। তার ডিফেন্স সত্যিই ভালো ছিল এবং সে ইংল্যান্ড শিবিরে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিল।”