অ্যান্ডারসন-ব্রডের কাছেই ফেরার ভাবনায় ইংল্যান্ড

এক জন থাকছেন না, নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। ১২ জনের দলেই ছিলেন না জেমস অ‍্যান্ডারসন। পরে অ‍্যাশেজে প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা পাননি স্টুয়ার্ট ব্রডও। ফিট ও খেলার জন‍্য প্রস্তুত অভিজ্ঞ এই দুই পেসারকে একাদশে না রাখা নিয়ে হয় প্রবল সমালোচনা। ৯ উইকেটে ম‍্যাচ হারার পর যা হয় আরও উচ্চকিত।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2021, 02:38 PM
Updated : 13 Dec 2021, 04:16 PM

৬৩২ উইকেট নিয়ে ইংল‍্যান্ডের তো বটেই টেস্ট ইতিহাসেরই সফলতম পেসার অ‍্যান্ডারসন। ৫২৪ উইকেটের ১১৮টি ব্রড নিয়েছেন অ‍্যাশেজ সিরিজে। ইংলিশদের মধ‍্যে এই প্রতিযোগিতায় তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে কেবল দুই জনের।

সিরিজে পিছিয়ে পড়া ইংল্যান্ড এখন ভাবছে অভিজ্ঞদের কাছেই ফিরে যাওয়ার কথা। দলটির কোচ ক্রিস সিলভারউডও ইঙ্গিত দিলেন এমনটাই। দ্বিতীয় টেস্টে অ্যান্ডারসন ও ব্রডের ফেরার সম্ভাবনা তাই প্রবল।

যদিও আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দিবা-রাত্রির টেস্টের একাদশ নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলেননি সিলভারউড। তবে ব্রড ও অ্যান্ডারসন বেশ ভালোভাবেই ম্যাচটির জন্য প্রস্তুত বলে মনে করছেন তিনি।

ব্রিজবেন ছেড়ে সোমবার দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু অ্যাডিলেইডের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার কথা ইংল্যান্ডের। এর আগের দিন অ্যান্ডারসন ও ব্রডকে নিয়ে কথা বলেন সিলভারউড।

“জিমি (অ্যান্ডারসন) ফিট এবং দ্বিতীয় টেস্টের জন্য প্রস্তুত থাকবে, স্টুয়ার্টও তাই। তাদেরকে পাওয়া যাবে। নিশ্চিতভাবেই অভিজ্ঞতার দিক থেকে, এদের পেয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা বিস্তর বাড়বে। তাই এটা নিয়ে আমি খুশি।”

“ছেলেরা এরই মধ্যে গোলাপি বলে অনুশীলন করছে। আমাদের আছে দক্ষ বোলারদের একটি দল। যেখানে প্রতিভাবান বোলার আছে, একই সঙ্গে আছে সেরাদের দুইজন।”

টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার অ্যান্ডারসন। ব্রড আছেন ছয়ে। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট নেওয়ার তালিকায় সেরা দুইয়ে তারাই। এখন পর্যন্ত দুইজনে মোট উইকেট নিয়েছেন এক হাজার ১৫৬টি।

হাজার উইকেট নেওয়ার অভিজ্ঞ ঋদ্ধ এই দুই পেসারকে ছাড়া ১৫ বছরে প্রথমবার অ্যাশেজ খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। গ্যাবায় ম্যাচটি তারা চারদিনে হেরে যায়।

অ্যাশেজ শুরুর একদিন আগে প্রথম টেস্টের জন্য ঘোষিত ১২ সদস্যের দলে অ্যান্ডারসনকে রাখেনি ইংল্যান্ড। চোট সমস্যা না থাকলেও ৩৯ বছর বয়সী এই পেসারের ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। সঙ্গে অ্যাডিলেইডের দিবা-রাত্রির টেস্ট ছিল ভাবনায়।

১২ সদস্যের দলে রাখা হলেও ব্রডকে না খেলানো বেশি চমক জাগানিয়া ছিল। অভিজ্ঞ এই পেসারের জায়গায় নামানো হয় জ্যাক লিচকে। যিনি ম্যাচে ছিলেন একেবারেই নিষ্প্রভ। ১৩ ওভার বোলিং করে ১০২ রান দিয়ে বাঁহাতি এই স্পিনার নেন কেবল এক উইকেট।

ব্রডও অবশ্য না খেলতে পারার হতাশার কথা লিখেছিলেন ডেইলি মেইলের কলামে। একই সঙ্গে বাস্তবতা বোঝার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। সিলভারউডও বললেন, খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন ব্রড। তবে সিদ্ধান্তটি তার সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়েছে।

“সত্যি বলতে, স্টুয়ার্ট ভালো অবস্থায় ছিল। অবশ্যই (প্রথম টেস্টে) না খেলতে পেরে সে হতাশ, তবে সে জানে যে, এটা দীর্ঘ একটি সিরিজ। মাঠে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য সবাই চাইবে এবং সে (ব্রড) এখন সেটা করতে প্রস্তুত। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্টুয়ার্টের সঙ্গে আমাদের ভালো একটি আলাপ হয়েছিল এবং সে পুরোপুরিই জানত।”

আসছে টেস্টের একাদশ কেমন হবে বা কে খেলবেন, এখনও কাউকে কিছুই বলা হয়নি বলে জানালেন সিলভারউড।

“আমি কাউকে বলিনি যে, তারা খেলছে। এই টেস্টে আমাদের কারো কারো চোট থাকতে পারে, সেটার ওপর ভিত্তি করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”