বিসিএলের প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে সোমবার ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন মিঠুন। পরে শতরানে পা রাখেন তার উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী মিজানুর রহমানও।
সাদা বলের ক্রিকেটে নানা সময় ওপেন করলেও লাল বলে ওপেন করতে একদমই অভ্যস্ত নন মিঠুন। এই ম্যাচের আগে মধ্যাঞ্চলের নিয়মিত ওপেনার আব্দুল মজিদ কোভিড সংক্রান্ত জটিলতায় ছিটকে গেলে মিঠুন নামেন ওপেন করতে। বাজিমাত করে ফেললেন তাতেই।
এবার জাতীয় লিগে খুলনার হয়ে একটি ম্যাচে বল হাতে ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে চমক দেখালেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন মিঠুন। ৯ ইনিংস খেলে তার রান ছিল মোটে ১৫৮, সর্বোচ্চ ৪৬। বিসিএলের প্রথম ইনিংসেই পেলেন বড় রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষ করেন মিঠুন ৪৩ রান নিয়ে। ওয়ানডের গতিতে খেলে ৫৪ বলের ইনিংসে মারেন ৬ চার ও ১ ছক্কা। দ্বিতীয় দিন সকালে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি ৬৪ বল খেলে।
লাঞ্চের সময় মাঠ ছাড়ছেন দুই সেঞ্চুরিয়ান মিঠুন ও মিজানুর। ছবি: ওয়ালটন।
জাতীয় লিগে প্রায় একই অবস্থা ছিল মিজানুর রহমানেরও। রাজশাহীর হয়ে চার ম্যাচে আট ইনিংস খেলে ছিল না ফিফটি, সর্বোচ্চ ছিল ৪৮। তিনিও শুরুটা দারুণ করলেন বিসিএলে।
দিন শুরু করেন তিনি ১৮ রান নিয়ে। আগের দিন সাবধানী ব্যাটিং করা ওপেনার নতুন দিনে আরেকটু স্বাধীনতা নিয়ে খেলেন। আরিফুল হকের শর্ট বলে পুল করে চার মেরে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি ৮৯ বলে। লাঞ্চের ঠিক আগের বলে তানবীর হায়দারের বল স্লগ সুইপে ছক্কায় উড়িয়ে তিনি শতরান পূর্ণ করেন ১৬৩ বলে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার দ্বাদশ সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে উত্তরাঞ্চলের ২১৯ রান মধ্যাঞ্চল পেরিয়ে যায় কোনো উইকেট না হারিয়েই।