‘পাক-ভারত সমস্যার সমাধান হতে পারে ক্রিকেট’

দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক সাপে-নেউলে। কিন্তু ক্রিকেট মাঠে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে ঠিকই দেখা যায় ভ্রাতৃত্ববোধ। ইমাদ ওয়াসিমের মতে, ক্রিকেট পারে প্রতিবেশি দেশ দুটির মধ্যে থাকা সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে। আর তাই দল দুটিকে পরস্পরের বিপক্ষে নিয়মিত খেলা উচিত বলে মনে করেন পাকিস্তানের এই স্পিনিং অলরাউন্ডার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2021, 01:46 PM
Updated : 10 Dec 2021, 01:47 PM

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানে ক্রিকেট বিশ্বে বাড়তি উত্তেজনা। কিন্তু দুই দলের মুখোমুখি লড়াই এখন সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টে। ক্রিকেটের স্বার্থে ও দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতির কথা চিন্তা করে হলেও এখানে পরিবর্তন চান ইমাদ।

রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক লড়াই বন্ধ ৮ বছর ধরে। সবশেষ ২০১৩ সালে ভারতে দুই টি-টোয়েন্টি ও তিন ওয়ানডের ছোট্ট সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান। দুই দেশের টেস্ট লড়াই সবশেষ হয়েছে ২০০৭ সালে।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। যেখানে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে পাকিস্তান। প্রথমবারের মতো যেকোনো সংস্করণের বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানোর অনির্বচনীয় স্বাদ পায় তারা।

বিব্রতকর হারের পরও বিশ্বকাপের ওই ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে দেখা যায় মোহাম্মদ রিজওয়ানকে জড়িয়ে ধরতে। বিশ্বকাপে ভারতের মেন্টরের দায়িত্বে থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখা যায় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলতে। স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে ক্রিকেটারদের মধ্যে সুসম্পর্কের বিষয়টি।

পাকপ্যাশনকে দেওয়া শুক্রবারের সাক্ষাৎকারে ইমাদ বলেন, ক্রিকেট পারে দুই দেশের বৈরি সম্পর্ককে ভালো অবস্থায় নিয়ে যেতে।

“খেলোয়াড় হিসেবে সবাই সর্বোচ্চ পর্যায় ও সেরা দলগুলোর বিপক্ষে সবসময় লড়তে চাইবে। তাই এমন ম্যাচ আমাদের কাছে খুবই স্পেশাল। আমি মনে করি, দুটি বিশ্বমানের দল হওয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত খেলা উচিত।”

“কিন্তু আমি এটাও জানি যে রাজনৈতিক কারণেই সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এখন আর দুই দল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে না, এটা দুঃখজনক। কারণ ক্রিকেটের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার সমস্যা মিটতে পারে। আমি মনে করি, আমাদের দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হওয়া উচিত। এটা শুধু ক্রিকেট খেলার জন্যই ভালো হবে না, উভয় দেশের জন্য এবং মানবতার জন্যও দারুণ হবে।”