অ্যাশেজের ব্রিজবেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন হাঁটুতে চোট পান স্টোকস। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ২৯তম ওভারে ফিল্ডিংয়ে বলের পেছনে দৌড়ানোর সময় আঘাত পান তিনি। দিনের বাকিটা সময় হাঁটু নিয়ে ধুঁকতে দেখা যায় তাকে।
আঙ্গুলের চোট ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে ক্রিকেট থেকে বিরতিতে যাওয়া মিলিয়ে লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে ছিলেন স্টোকস। খেলেননি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সবশেষ টেস্ট খেলেছেন গত মার্চে, ভারতের মাটিতে।
৯ মাস পর টেস্ট দলে ফিরে শুরুটা ভালো হয়নি তার। ব্যাট হাতে ছিলেন ব্যর্থ, যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। বল হাতেও রাখতে পারেননি তেমন কোনো অবদান। যদিও একটি উইকেট নেওয়ার সুযোগ এসেছিল, কিন্তু ‘নো’ করে সেটাও হাতছাড়া করেন।
নিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই ডেভিড ওয়ার্নারকে বোল্ড করে দেন স্টোকস। কিন্তু পরে দেখা যায় ওভারস্টেপ করে ফেলেছেন তিনি। নিজের প্রথম পাঁচ ওভারে মোট ১৪টি ‘নো’ বল (ওভারস্টেপ) করেন স্টোকস, যদিও এর মাত্র দুটি ধরতে পারেন আম্পায়াররা। দিনে মোট ৯ ওভার বোলিং করে ৫০ রান দেন এই পেস-বোলিং অলরাউন্ডার।
ইংল্যান্ডের হয়ে সফল দিন কাটানো অলিভার রবিনসন শেষ সেশনে মাঠ ছাড়ার পর আর নামেননি। তিন উইকেট নেওয়া এই পেসার দ্বিতীয় নতুন বলে করেননি কোনো বল। তবে তাকে ঘিরে কোনো চোট সমস্যা নেই বলে জানান ইংল্যান্ড বোলিং কোচ জন লুইস।
“নিশ্চিতভাবেই বেন (স্টোকস) আজ মাঠে চোট পেয়েছে। তাই দিনের শেষ দিকে পুরোপুরি গতি দিয়ে বল করতে পারেনি সে। আমাদের চিকিৎসকরা তাকে আজ রাতে মূল্যায়ন করবে, দেখবে কেমন আছে। এছাড়া বাকিরা ঠিক আছে।”
সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩৪৩ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিন ১৪৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড থেকে তারা এগিয়ে ১৯৬ রানে।