ব‍্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্নে অবাক মুমিনুল

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও রানের জন‍্য এতটা মরিয়া দেখা যায়নি বাংলাদেশের ব‍্যাটসম‍্যানদের। মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিন শেষ বেলায় রানের জন‍্য যেন মরিয়া ছিলেন সবাই। নিচ্ছিলেন মস্ত বড় ঝুঁকি, এর মাশুল দিতে হয় উইকেট বিলিয়ে। বাংলাদেশের সেই ব‍্যাটিং বিস্মিত করেছে প্রায় সবাইকে। তবে তাদের ব‍্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্নে অবাক বাংলাদেশ অধনায়ক মুমিনুল হক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2021, 03:57 PM
Updated : 8 Dec 2021, 03:57 PM

পরিস্থিতির দাবি ছিল অন‍্য কিছুর। ম‍্যাচ বাঁচাতে প্রয়োজন ছিল ঠাণ্ডা মাথার ব‍্যাটিং, ক্রিজে পড়ে থাকার মানসিকতা, চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা। প্রমাণিত এই পথে হাঁটেনি বাংলাদেশ। শট খেলার নেশায় মেতে হারায় উইকেট।

৭৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ শেষ করে চতুর্থ দিন। পর দিন সকালে কেবল ১১ রান যোগ করেই থমকে যায় ৮৭ রানে। আগের দিনের পাগলাটে ব‍্যাটিং থেকে ফিরে লড়াইয়ের চেষ্টা দেখায় দ্বিতীয় ইনিংসে। একটুর জন‍্য পারেনি শেষ রক্ষা করতে। ম্লান হতে থাকা আলোয় ২০৫ রানে গুটিয়ে গিয়ে ম‍্যাচ হারে ইনিংস ও ৮ রানে।

চতুর্থ দিনের খেলা শেষ বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে একটা ব‍্যাখ‍্যা দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বুধবার একই প্রশ্নে অধিনায়ক জানালেন বিস্ময়।

“আমার মনে হয়, কেউ আক্রমণাত্মক খেলেনি। আমি আসলে আপনার প্রশ্ন শুনে অবাক হয়েছি। কেউ আক্রমণাত্মক খেলেনি। বলের মেরিট অনুযায়ী (খেলেছে)। ওরা ৩০০ রান করেছে, আপনি যদি রক্ষণই করেন তো রান করবেন কখন?”

“যারা আউট হয়েছে তারা হিসেবি ঝুঁকি নিয়েই শট খেলেছে। যেখানে বল বেশি টার্ন করে, সেখানে যদি হিসেবি ঝুঁকি না নেন, তাহলে তো হবে না। আপনার কাছে এটা (আগ্রাসী) লাগছে এই কারণে যে ওই সময়ে আউট হয়ে গেছে। স্কোরিং শট যেগুলো (সেগুলো তো খেলতে হবে) না হলে তো রান করতে পারবেন না। আমার কাছে কোনোভাবে মনে হয় না, (আমাদের ব‍্যাটিং) আগ্রাসী ছিল।”

প্রথম আট ব‍্যাটসম‍্যানের ছয় জনই আউট হন মারতে গিয়ে। এর মধ‍্যে সবচেয়ে দৃষ্টিকটু ছিল মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের আউট। সাজিদ খানের বলে স্লগ সুইপ করে শর্ট মিড উইকেটে ধরা পড়েন মুশফিক। ক‍্যাচ ধরে ফাওয়াদ আলমেরও যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না, এই শট খেলেছেন ব‍্যাটসম‍্যান। বেরিয়ে এসে চড়াও হতে গিয়ে সাজিদকে ফিরতি ক‍্যাচ দেন লিটন। মুমিনুল জানালেন, দুই সতীর্থের এসব শটে সমর্থন আছে তার।

“সবাই মারতে গিয়ে আউট হয়নি। ওই উইকেটে আমি অবশ‍্যই মুশফিক ভাই ও লিটনকে সমর্থন করব। কারণ, তখন উইকেটে বল অনেক ঘুরছিল। ওই উইকেটে ওরা যে টার্গেটটা নিয়েছিল (রানের জন‍্য সেটা ঠিক ছিল)। যেমন, মুশফিক ভাই স্কয়ার অব দ্যা উইকেটে মারতে চেয়েছিল, হয়ত দুর্ভাগ্যবশত ঠিক মতো কানেক্ট হয় নাই। আর লিটন যেটা বেরিয়ে এসে মেরেছিল, সেটা যদি আরেকটু উপরে তুলতে পারত তাহলে হয়ত বলটা বেরিয়ে যেত। দুর্ভাগ‍্যজনকভাবে বলটা সোজা চলে গেছে।”

“এসব উইকেটে আমার মনে হয়, বেশি রক্ষনাত্মক খেললেও কাজটা কঠিন হয়ে যায়। আমরা যারা আউট হয়েছি, তাদের বেশির ভাগই স্কয়ার অব দা উইকেট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছি। আমার মনে হয়, আমার উইকেটটা বেশি বাজে ছিল।”