‘ওই উইকেটে ম্যাচ ঘুরেছে’, মিরাজের উইকেট নিয়ে বাবর

নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলির আগুনে স্পেল, পরে সাজিদ খানের স্পিন। মিরপুর টেস্টের শেষ দিনে পাকিস্তানের দারুণ জয়ের নায়ক তারাই। তবে ভুলে গেলে চলবে না বাবর আজমকে! দুই ওভার হাত ঘুরিয়েই বলা যায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটটি ম্যাচের প্রেক্ষাপটে মহামূল্য, বলছেন স্বয়ং বাবরও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2021, 02:49 PM
Updated : 8 Dec 2021, 02:49 PM

এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৮৯ ম্যাচ খেলে কখনোই বোলিং করেননি বাবর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যদিও ১২০ ওভার বোলিং করেছেন এই ম্যাচের আগে। উইকেট ছিল ৫টি। লিস্ট ‘এ’ ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে উইকেট ছিল আরও ১৬টি।

জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার বোলিং করেন এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে, স্রেফ ১ ওভার। দ্বিতীয় ওভার বোলিং করতে এলেন তিনি শেষ দিন শেষ সেশনে।

ইনিংসের তখন ৭৫ ওভার পেরিয়ে গেছে। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি উইকেটে কাটিয়ে দিয়েছে প্রায় ২৩ ওভার। বাংলাদেশ তখন নিরাপদ আশ্রয়ের কাছাকাছি।

বাবর বোলিংয়ে এলেন এবং দ্বিতীয় বলেই ভাঙলেন এই জুটি! মিরাজের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রতিরোধ শেষ হলো ৭০ বলে ১৪ রান করে।

এরপর আর টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ৪ উইকেট ৭ রানের মধ্যে হারিয়ে তারা হেরে যায় ম্যাচ। অসাধারণ এক জয়ের উল্লাসে ভাসে পাকিস্তান।

ম্যাচ শেষের অনেক পরও সেই উচ্ছ্বাসের রেশ ছিল বাবর আজমের। চওড়া হাসিতে তিনি বললেন, বোলিং উপভোগ করেছেন দারুণ।

“আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বোলিং করলাম। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে বোলিং করেছি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সুযোগ পাইনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করার। আমার মনে হয়েছে, এখানে বোলিং করা উচিত। নেটেও মাঝেমধ্যে বোলিং করি।”

“পুরোপুরি উপভোগ করেছি, যে ২-৩ ওভার বোলিং করেছি। ওই উইকেট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওই উইকেটের কারণে ম্যাচ ঘুরে গেছে।”

দিনের প্রেক্ষাপটে নিজের উইকেট গুরুত্বপূর্ণ হলেও ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব বাবর দিলেন সাজিদ খানকে। প্রথম ইনিংসে ৪২ রানে ৮ উইকেট নেন এই অফ স্পিনার। পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসের যা চতুর্থ সেরা বোলিং, বাংলাদেশের বিপক্ষে সব দল মিলিয়েই সেরা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন ৪ উইকেট।

সাজিদের পাশাপাশি পেসারদের কথাও বাবর বললেন আলাদা করে।

“টার্নিং পয়েন্ট ছিল সাজিদের ওই স্পেল, যেখানে সে ৮ উইকেট নেয়। এতে আমরা মোমেন্টাম পেয়ে যাই। এরপর আজকে ফাস্ট বোলাররা যেভাবে শুরুতে উইকেট নিয়েছে এবং শাহিন শাহ ও হাসান আলি যেভাবে বোলিং করেছে, যত প্রশংসা করা হোক না কেন, কম হবে।”