মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বড় বিপদে বাংলাদেশ। ৭৬ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে ৭ উইকেট। এখনও ২২৪ রানে পিছিয়ে মুমিনুল হকের দল। ফলোঅন এড়াতেই চাই ২৫ রান।
রানের জন্য ছটফট করছিলেন প্রায় সবাই। মাঝ ব্যাটে বল খেলার চেয়ে যেন কোনোভাবে দ্রুত ফলোঅন এড়ানোই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। সেটি তো হয়ইনি, উল্টো হারের চোখ রাঙানিতে শুরু করতে হবে পঞ্চম ও শেষ দিন।
বৃষ্টির বাগড়ায় চার দিনে দুই দলের একটি করে ইনিংসও শেষ হয়নি, এমন ম্যাচে ফল হওয়া বেশ বিরল। চতুর্থ দিনের শেষ বেলায় বাজে ব্যাটিংয়ে সেটিই বাস্তব করার পথে বাংলাদেশ। উত্তরসূরিদের এই ব্যাটিংয়ের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না সাবেক অধিনায়ক মাহমুদ।
“আমরা জানি, কাল টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে। চারটা-সাড়ে চারটা সেশন হয়তো খেলা হবে। আমি আজহার আলির কথা বলব, সে অনেক লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করেছে। আমাদের তার থেকে শিক্ষাটা নেওয়া দরকার ছিল।”
অভিষেকে শূন্য রানে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ফেরেন ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে। আত্মঘাতী রান আউটে থামেন অধিনায়ক মুমিনুল। স্লগ সুইপে ধরা পড়েন মুশফিকুর রহিম। বেরিয়ে এসে বোলারকে ফিরতি ক্যাচ দেন লিটন দাস। বারবার বেঁচে যাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত থামেন এলবিডব্লিউ হয়ে। ডিফেন্স করে করে শট খেলার চেষ্টায় বোল্ড হন মেহেদী হাসান মিরাজ।
মুমিনুল ছাড়া বাকি ছয়টি উইকেট নেন সাজিদ খান। এমন অসংখ্য অফ স্পিনার নিয়মিত খেলে বাংলাদেশ। তবুও তাকে এত উইকেট দেওয়াটা মানতে পারছেন না মাহমুদ।
“ওরা যেভাবে আউট হয়েছে, তাতে আমি মোটেও খুশি নই।… আমরা ব্যর্থ হয়েছি। যারা সিনিয়র তাদের আরও বেশি দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল। সেটা ওরা পারেনি। কিন্তু আগে অনেকবারই ওরা সেই দায়িত্ব নিয়েছে। তখন পেরেছে কীভাবে? ওরা যেভাবে খেলেছে, আজকে সেটা আমিও মানতে পারিনি। ওদের যে পেসার আছে, তেমন পেসারদের আমরা নিয়মিত খেলি না। কিন্তু ওদের যে স্পিনাররা আছে, এমন স্পিনারদের নিয়মিতই খেলি।”
“এটা হয়ে গেছে বা বাজে একটা দিন ছিল, এমন কথার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই একমত হব না। আমরা ভালো খেলিনি। আমাদের বাস্তবায়নের মান যথাযথ ছিল না।… যেভাবে ওরা আউট হয়েছে, এটা মেনে নেওয়ার মতো না। কোনোভাবেই না।”