অনেকক্ষণ ধরেই বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবর আজম। দলের তিনশ কিংবা ফাওয়াদের ফিফটির জন্য হয়ত অপেক্ষা করছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ফাওয়াদের সিঙ্গেলে পূর্ণ হলো দুটিই। সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করলেন বাবর।
পাকিস্তান ৩০০ রানে ইনিংস ছাড়ায় ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের করতে হবে অন্তত ১০১ রান।
শেষটা ভালো না হলেও দিনের শুরুতে উন্নতির আভাস ছিল সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেনের বোলিংয়ে। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখান এই দুই পেসার। দ্রুত ফিরিয়ে দেন আগের দিনের দুই থিতু ব্যাটসম্যান আজহার আলি ও বাবরকে।
আগের তিন দিনের মতো মঙ্গলবারও হানা দেয় বৃষ্টি। তৃতীয় দিন ভেসে যাওয়ার পর এদিন খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল সাড়ে নয়টায়। শেষ পর্যন্ত বল মাঠে গড়ায় ১০টা ৫০ মিনিটে।
বৃষ্টির জন্য চার দিন ধরেই কন্ডিশন স্যাঁতস্যাঁতে। প্রথম দিন খেলা শুরুর আগে থেকেই আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। বৃষ্টিভেজা দিনে মিরপুরেও যেন ছিল অনেকটা ‘ইংলিশ কন্ডিশন।’ আগের দিনগুলোতে এই সুবিধা কাজে লাগাতে না পারলেও এবার সামর্থ্যের কিছুটা ঝলক দেখালেন ইবাদত ও খালেদ।
৮ চারে ১৪৪ বলে ৫৬ রান করেন আজহার। টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান দিন শুরু করেছিলেন ৫২ রান নিয়ে।
খালেদের হাত ধরে একটু পর মেলে বাবরের দামি উইকেট। পাকিস্তান অধিনায়ককে এলবিডব্লিউ করে তৃতীয় টেস্টে এসে শেষ হয় একটি উইকেটের জন্য বাংলাদেশের এই পেসারের অধীর অপেক্ষা।
উইকেট সোজা বল লেংথে পিচ করে একটু স্কিড করে ও নিচু হয়ে যাওয়ায় ব্যাটে খেলতে পারেননি বাবর। ৪১৮ বল করার পর উইকেট পেলেন খালেদ। ৯ চার ও ১ ছক্কায় ১২৬ বলে ৭৬ রান করে আউট হন বাবর।
শূন্য ও ১২ রানে দুইবার রিভিউ নিয়ে বাঁচেন কিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। কট বিহাইন্ডের আপিল না করায় বাংলাদেশ পায়নি ফাওয়াদ আলমের উইকেট। সে সময় ১২ রানে ছিলেন তিনি।
আগের দিন ৬.২ ওভার বোলিং করে ২৭ রান দেন ইবাদত ও খালেদ। এদিন ১১.৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট।
প্রথম সেশনে আক্রমণে সব সময় অন্তত একজন পেসারকে রাখেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। লাঞ্চের পর ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আনেন সব বোলারকেই। কিন্তু জুটি ভাঙা কিংবা রানের গতিতে বাঁধ দেওয়ার কাজ করতে পারেননি কেউই।
শুরুতে বেশ ভুগলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জমে যায় ফাওয়াদ ও রিজওয়ানের জুটি। ১০১ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটির রান তিন অঙ্কে যায় ১৬৮ বলে।
প্রায় এক গতিতেই খেলে যান দুই ব্যাটসম্যান। ৯৬ বলে ৭ চারে ৫০ রান করেন ফাওয়াদ। এক ছক্কা ও চারটি চারে ৯৪ বলে ৫৩ রান করেন রিজওয়ান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৯৮.৩ ওভারে ৩০০/৪ (ডি.) (আগের দিন ১৮৮/২) (আজহার ৫৬, বাবর ৭৬, ফাওয়াদ ৫০*, রিজওয়ান ৫৩*; ইবাদত ২৩-৩-৮৮-১, খালেদ ১৭.৩-৫-৪৯-১, সাকিব ১৯-৭-৫২-০, তাইজুল ২৫-৬-৭৩-২, মিরাজ ১৪-২-৩৭-০)।