সিএ সোমবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া সরকার ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আলোচনার পর পার্থ থেকে ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে তিন পক্ষ।
সিএ প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ম্যাচটি পার্থে আয়োজনের সম্ভাব্য সব চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
“আমরা খুব হতাশ যে পার্থ স্টেডিয়ামে অ্যাশেজের (পঞ্চম) টেস্ট ম্যাচটি আয়োজন করতে পারছি না।”
“বর্তমান সীমান্ত ও স্বাস্থ্য আইন মেনে (পার্থে খেলার জন্য) আমরা সম্ভাব্য সবকিছুই করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটি সেটা আর সম্ভব হয়নি।”
কঠিন সব নিয়ম মানার মাধ্যমেই ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া তাদের রাজ্যে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। সারা বিশ্বে নতুন করে করোনাভাইরাসের বিস্তারের যে শঙ্কা জেগেছে, তার প্রেক্ষিতে নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ভ্রমণকারীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন ছাড়া এই রাজ্যের সীমান্ত অতিক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অ্যাশেজ চতুর্থ টেস্টটি আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি হবে নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনিতে। পঞ্চম টেস্ট শুরু ১৪ জানুয়ারি থেকে। ফলে চতুর্থ টেস্টের পর ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করে পার্থে খেলাটা অসম্ভব।
বিকল্প ভেন্যু হিসেবে এগিয়ে আছে হোবার্ট। গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্টটি এখানেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে মেয়েদের ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ওই টেস্টটি স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া।
এছাড়া মেলবোর্ন (তৃতীয় টেস্ট) ও সিডনির (চতুর্থ টেস্ট) কর্মকর্তারাও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা নিজ নিজ ভেন্যুতে পঞ্চম টেস্টটি আয়োজনের জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
আগামী বুধবার ব্রিজবেন টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে এবারের অ্যাশেজ।