উইকেটকিপার হিসেবে অ্যালেক্স কেয়ারি নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর মূলত দুটি জায়গা নিয়েই ছিল কৌতূহল। ব্যাটিং অর্ডারের ৫ নম্বর পজিশনের লড়াইয়ে ছিলেন দলে ফেরা দুই বাঁহাতি ট্রাভিস হেড ও উসমান খাওয়াজা। পেস আক্রমণে মিচেল স্টার্কের ‘চ্যালেঞ্জার’ হিসেবে আবির্ভূত হন জাই রিচার্ডসন।
এবার শেফিল্ড শিল্ডে ৫ ম্যাচ খেলে ৬৫.৭১ গড়ে ৪৬০ রান করেন খাওয়াজা, সমান ম্যাচে হেড করেন ৪৯.২৫ গড়ে ৩৯৪ রান। তবে শেষ পর্যন্ত ৪৪ টেস্ট খেলা খাওয়াজাকে টপকে একাদশে ঠাঁই পেয়েছেন ১৯ টেস্ট খেলা হেড।
পেস আক্রমণে অভিজ্ঞ স্টার্কই ধরে রেখেছেন জায়গা। সবশেষ ম্যাচগুলোয় কিছুটা অধারাবাহিক হওয়ায় প্রশ্ন ওঠে বাঁহাতি এই ফাস্ট বোলারের পারফরম্যান্স নিয়ে। পাশাপাশি শেফিল্ড শিল্ডে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নিজের দাবি জানিয়ে রাখেন জাই রিচার্ডসন। সবশেষ দুটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার শিকার ১৫ উইকেট। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের ভেন্যু ব্রিজবেনে নিয়েছেন ৮ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন কদিন আগে প্রকাশ্যেই বলেন, স্টার্কের জায়গায় রিচার্ডসনকে খেলানো উচিত প্রথম টেস্টে। তবে নির্বাচকরা ও টিম ম্যানেজমেন্ট শেষ পর্যন্ত আস্থা রাখল স্টার্কের অভিজ্ঞতায়। কামিন্স-স্টার্ক-হেইজেলউড ত্রয়ী তাই টিকে রইল এবারের জন্য। প্রয়োজনে তাদেরকে সহায়তার জন্য আছেন অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন। একমাত্র স্পিনার যথারীতি ন্যাথান লায়ন।
আগামী বুধবার থেকে শুরু অ্যাশেজের মহারণ।
প্রথম টেস্টের অস্ট্রেলিয়া একাদশ:
মার্কাস হ্যারিস, ডেভিড ওয়ার্নার, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভেন স্মিথ, ট্রাভিস হেড, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স কেয়ারি, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, ন্যাথান লায়ন, জশ হেইজেলউড।