ডমিঙ্গোকে নিয়ে বিসিবির সিদ্ধান্ত জানুয়ারিতে

বাংলাদেশ দলে প্রধান কোচের দায়িত্বে রাসেল ডমিঙ্গোর ভবিষ্যৎ জানা যাবে আগামী মাসে। কোচ, প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা কিংবা না থাকাসহ আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত জানুয়ারিতে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2021, 02:10 PM
Updated : 4 Dec 2021, 02:10 PM

জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর দুই বছরের মেয়াদে খুব বেশি সাফল্যের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। তবে গত অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় ধরা দেয়। এরপর বিশ্বকাপের আগে ডমিঙ্গোর সঙ্গে আরও দুই বছরের নতুন চুক্তি করে বিসিবি।

বিশ্বকাপে দলের বাজে পারফরম্যান্সের পর কোচ হিসেবে ডমিঙ্গোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে অনেক, তেমনি বিশ্বকাপের আগেই নতুন চুক্তি করায় তুমুল সমালোচনা হয় বিসিবিরও।

কোন পরিস্থিতিতে কোচের সঙ্গে নতুন চুক্তি হয়েছে, বিশ্বকাপের পর বোর্ড কর্তাদের অনেকেই তা বলেছেন নানা সময়ে। শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তা ব্যাখ্যা করলেন বোর্ড সভাপতিও।

“বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মুহুর্তে রাসেল ডমিঙ্গো আমাদের কাছে লেখে যে, ও খুব ভালো একটা প্রস্তাব পেয়েছে। ও জানতে চাচ্ছিল, আমরা তার চুক্তি বাড়াব কী না। যদি না বাড়াই, তাহলে ঝুঁকির মধ্যে ও থাকবে না।”

“তখন আমরা অনেক খোঁজাখুজি করেছিলাম। পরে দেখলাম এই সময়ের মধ্যে কোনো কোচ পাব না। যদিও পাই, ঠিক বিশ্বকাপের আগে নতুন কোচ আনা নিয়েও দ্বিধা-দ্বন্দে ছিলাম। বেশিরভাগ কোচ যাদের দেখছিলাম তারা আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত বুকড। সে সমস্ত কথা মাথায় নিয়ে বোর্ড চিন্তা করেছে যে, তাকে এক্সটেনশন দিয়ে দেওয়া হোক।”

কোচকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণ শুধু বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়াই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটারদের অনেকের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি, ড্রেসিং রুমে কতৃত্বের জায়গায় ঘাটতির নানা গুঞ্জনও শোনা গেছে। সেসব জানতে পেরেই পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজ থেকে খালেদ মাহমুদকে ‘টিম ডিরেক্টর’ নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।

বোর্ড সভাপতি অবশ্য দাবি করলেন, ক্রিকেটারদের কাছ থেকে কোচকে নিয়ে কোনো অভিযোগ তিনি এখনও শোনেননি। পাশাপাশি এটিও বললেন, সব সমস্যা দূর করতে তারা বদ্ধ পরিকর।

“কোচের সঙ্গে দূরত্ব, মনোমালিন্য এসব আপনারা (সংবাদকর্মীরা) যেমন বলছেন, আমিও তেমন শুনি। কিন্তু আসল জায়গা (ক্রিকেটাররা) থেকে বলতে হবে তো! আসল জায়গা থেকে যদি না বলে, তাহলে লাভটা কী! শোনা যাচ্ছে অনেক কিছুই। কিন্তু শেকড়ে যেতে না পারলে সমস্যার সমাধান হবে না।”

“সেজন্য বলছি, অধৈর্য হওয়ার কিছু নেই। আমরা ঠিক করেছি, জানুয়ারিতে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের এই মাসটাও হাতে সময় আছে। এই একটু সময় সহ্য করতে হবে আপনাদের। ইনশাল্লাহ, এই মাসের মধ্যে আপনাদের আমরা জানাতে পারব এবং যা যা সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, যেখানে যেটা দরকার, আমরা অবশ্যই নেব।”